ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

‘তিস্তা নয়, ছিটমহলের জন্য নাটক করলেন মমতা’

রক্তিম দাশ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০১১
‘তিস্তা নয়, ছিটমহলের জন্য নাটক করলেন মমতা’

কলকাতা: তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি নয়, ছিটমহল সমস্যার সমাধান হবে না ভেবেই ঢাকা সফর বর্জনের নাটক করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।

এমনটাই মনে করছে ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল সমন্বয় কমিটি।



সোমবার সকালে ছিটমহল সমন্বয় কমিটির সহ-সম্পাদক দীপ্তিমান সেনগুপ্ত কুচবিহার থেকে বাংলানিউজকে টেলিফোনে এ রকমই বলেছেন।

তিনি বলেন,‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কী সিদ্ধান্ত হবে তা মমতার জানার কথা নয়, পশ্চিমবঙ্গের এই সফরে কোনও স্বার্থই পূরণ হবে না। ছিটমহল সমস্যার সমাধান হচ্ছে না, এর দায়ভার এড়ানোর জন্যই মমতাকে প্রধানমন্ত্রীর সফর সঙ্গী করা হচ্ছিল। ’

দীপ্তিমান বলেন, ‘এছাড়া মমতা ভেবেছেন এটা হলে সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্ক হারাতে হবে। কারণ সীমান্ত এলাকায় সংখ্যালঘু ভোটারের সংখ্যা বেশি। ’

আর মমতার সফর বর্জনের মাধ্যমে প্রথম ভারতের পরারাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রে একটি রাজ্যের সঙ্গে ভারত সরকারের মতবিরোধ প্রকাশ্যে এল বলেও মনে করছেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘কয়েকটি মহল থেকে বলা হচ্ছে প্রণব মুখার্জিকে দিয়ে ড্যামেজ কন্ট্রোল করা হবে তা আর সম্ভব নয়, কারণ তার ভূমিকাও এই প্রশ্নে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে। ’

এর ফলে আপনারা কতটা আশা হত, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,‘ আমরা আশাহত নই, এটা জানা ছিল। মমতা বিবৃতি দিলেন শুধুমাত্র তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে ছিটমহল নিয়ে চুক্তিতে কী আছে বললেন না, উনি কি চুক্তি দেখেননি? এটা রাজনৈতিক দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয়। ’

ক্ষুব্ধ দীপ্তিমান বলেন,‘সীমান্ত সর্ম্পকের থেকে ছিটমহল সমস্যা ছোট হল! মানবসম্পদের ওপর কতটা বিচার হল এই ঘটনায়? কেন্দ্র যদি মমতার সঙ্গে মিথ্যাচার করে থাকে, তাহলে সরকারের ওপর থেকে সমর্থন তুলে নিক মমতা। এটা একটা আই ওয়াশ। নাটক করছেন। ’

তিনি আরও বলেন,‘ভারত সরকার চায় ছিটমহল সমস্যা থাকুক। আগামী ২শ’ বছরেও যেন এই সমস্যার সমাধান না হয়। আর রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীর এটা অ্যাটিচিউট? ছিটমহল নিয়ে কোনও কথা নয়? সংবাদমাধ্যমে ছিটমহল বাদ দিয়ে শুধু তিস্তা ইস্যু নিয়ে বলা এবার আরও মারাত্মক আন্দোলনের জন্য তারা যেন প্রস্তুত থাকেন। যারা ছিটমহলকে নিয়ে ছেলেখেলা করছেন। ’

এদিকে, আজ (সোমবার) ভারতের অভ্যন্তরের বাংলাদেশের ছিটমহলের বাসিন্দারা সকাল সাড়ে ১১টায় কুচবিহারে মহামিছিল ও সমাবেশের ডাক দিয়েছেন।

কুচবিহার স্টেশন থেকে ১৫ হাজার মানুষের মিছিল শুরু হয়ে জেলাশাসকের কার্যালয় হয়ে শহর পরিক্রমা করে শহিদবাগে সমাবেশ করবেন। সেখান থেকেই আগামী আন্দোলনের রূপরেখা জানানো হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।