ঢাকা, বুধবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

মৈত্রী সেতু চালু হলে ত্রিপুরা দক্ষিণ এশিয়ার সিংহদ্বার হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২০
মৈত্রী সেতু চালু হলে ত্রিপুরা দক্ষিণ এশিয়ার সিংহদ্বার হবে মোহাম্মদ জোবায়েদ হোসেন

আগরতলা (ত্রিপুরা): ত্রিপুরা রাজ্যের দক্ষিণ জেলার সাব্রুম এলাকার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ফেনী নদীর উপর মৈত্রী সেতুর নির্মাণকাজ এখন শেষ পর্যায়ে। এ সেতু চালু হলে আক্ষরিক অর্থে সাব্রুমসহ ত্রিপুরা রাজ্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সিংহদ্বার হয়ে উঠবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন আগরতলাস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের সহকারী হাইকমিশনার মোহাম্মদ জোবায়েদ হোসেন।

বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) সাব্রুমে গিয়ে মৈত্রী সেতুর নির্মাণকাজ ঘুরে আসার পর বাংলানিউজকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ অভিমত ব্যক্ত করেন।  

এ সময় তিনি মদ্রসাতুলের পাশাপাশি সাব্রুমের নির্মীয়মান স্পেশাল ইকোনমিক জোন, সাব্রুম এলাকায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নির্মাণের পরিকল্পনাধীন ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট এলাকা ও সাব্রুম রেল স্টেশনও ঘুরে দেখেন।  

নির্মীয়মান ও নির্মাণের পরিকল্পনাধীন প্রকল্পগুলো ঘুরে দেখে অভিমত ব্যক্ত করতে গিয়ে জোবায়েদ হোসেন বলেন, এগুলো খুব সুন্দর পরিকল্পনা করে গড়ে তোলা হচ্ছে, যার ফলে আগামী দিনে বাণিজ্য প্রসারের ক্ষেত্রে খুবই সহায়ক হবে।

ত্রিপুরা সরকারের তরফে বলা হয়েছে, সাব্রুমের স্পেশাল ইকোনমিক জোন বাংলাদেশের ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ার ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে। এ বিষয়ে জোবায়েদ হোসেন জানান, সাব্রুমে বাংলাদেশের শিল্পপতিদের বিনিয়োগ করার মতো সুবিধা রয়েছে। বাংলাদেশের শিল্প উদ্যোগরা নিশ্চয় এ স্পেশাল ইকোনমিক জোন ঘুরে দেখে তাদের সুবিধা-অসুবিধার দিকগুলো বিবেচনা করে শিল্প স্থাপনে এগিয়ে আসবে। সেই সঙ্গে তিনি আশা ব্যক্ত করেন, শিল্প স্থাপনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীদের যে নীতিগত বাধা রয়েছে এগুলো সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কেটে যাবে। এ স্পেশাল ইকোনমিক ত্রিপুরাসহ বাংলাদেশের শিল্প ও অর্থনৈতিক বিকাশে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২০
এসসিএন/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।