ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

একটি করে রাজ্যে ক্ষমতায় থেকে আর্থিক হিসাব, নজর কেড়েছে ২ দল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০২১
একটি করে রাজ্যে ক্ষমতায় থেকে আর্থিক হিসাব, নজর কেড়েছে ২ দল

কলকাতা: বাংলাসহ গোটা ভারতে ক্ষমতাচ্যুত বামেরা। এমনকি একুশে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে একটিও আসন পায়নি।

সদস্য সংখ্যা থেকে শুরু করে সর্বভারতীয় রাজনীতি, সবক্ষেত্রে মমতার দল থেকে অনেক পিছিয়ে গেছে বামেদের দল সিপিআইএম। তবে, রাজ্যে দলীয় আয়ের দিক থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ে এগিয়ে সিপিআইএম।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে দলগুলো ভারতের নির্বাচন কমিশনে আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেয়। তাতে দেখা যায়, বামেদের বাৎসরিক আয় প্রায় ১৫ কোটি রুপি বেশি। বর্তমানে ভারতে তৃণমূল কংগ্রেস এবং সিপিআইএম দুই দলই একটি করে রাজ্যে ক্ষমতায়। পশ্চিমবঙ্গে যেমন তৃণমূল কংগ্রেস, তেমন কেরালা শাসন করছেন বামেরা।

গত ১৮ জানুয়ারি তৃণমূল কংগ্রেস যে হিসাব নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছিল, তাতে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১৪৩ কোটি ৬৭ লাখেরও কিছু বেশি আয় দেখিয়েছে তারা। পরে ফেব্রুয়ারিতে কমিশনের কাছে নিজেদের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেয় সিপিএম। সেখানে দেখা গেছে ২০১৯-২০ অর্থবছরে বামেদের আয় ১৫৮ কোটি ৬২ লাখ রুপির কিছু বেশি।

তবে তৃণমূল কংগ্রেস আয়ের দিক থেকে সিপিআইএম থেকে পিছিয়ে থাকলেও ব্যয় বেশি মমতার দলের। নির্বাচন কমিশনে দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১০৭ কোটি ২৭ লাখ রুপির মতো খরচ হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের।

সিপিআইএম জানিয়েছে, ওই অর্থবছরে ১০৫ কোটি ৬৮ লাখ খরচ হয়েছে তাদের। ওই বছরেই দেশটিতে ছিল লোকসভা নির্বাচন। যেখানে দ্বিতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী আসনে বসেছেন নরেন্দ্র মোদী।

নির্বাচন কমিশনের রিপোর্টে বিভিন্ন দলের পেশ করা হিসাবে দেখা যায়, বাকি সব দল মিলে যা আয় করেছে ২০১৯-২০ অর্থবছরে, বিজেপির আয় ছিল তার দ্বিগুণের বেশি। ৩  হাজার ৬২৩ কোটি রুপি। ওই বছর জাতীয় কংগ্রেসের মোট আয় ছিল ৬৮২ কোটি রুপি।

বাংলাদেশ সময়: ১২২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২১
ভিএস/এএটি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।