ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

ত্রিপুরার কৃষি খামার পরিদর্শনে বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ দল 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২২
ত্রিপুরার কৃষি খামার পরিদর্শনে বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ দল 

আগরতলা (ত্রিপুরা): ত্রিপুরার কৃষি খামার পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশের গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. গিয়াস উদ্দিন মিঞার নেতৃত্বে সাত জনের একটি প্রতিনিধি দল।

প্রতিনিধি দলে উপাচার্যের পাশাপাশি রয়েছেন বিশ্ব বিদ্যালয়ের কৃষি সম্প্রসারণ ও গ্রামীণ উন্নয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সফিউল ইসলাম আফ্রাদ এবং এই বিভাগের লেকচারার শাহরিয়ার হাসান এবং চার জন ছাত্র-ছাত্রী।

ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশ নিতে মঙ্গলবার (২২ মার্চ) আগরতলা পৌঁছান ওই প্রতিনিধি দল।

বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) তারা ত্রিপুরা সরকারের কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের উদ্যান এবং মৃত্তিকা সংরক্ষণ বিভাগ পরিচালিত আগরতলার পার্শ্ববর্তী নাগিছড়া এলাকার উদ্যান ও ফল গবেষণা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। তারা গবেষণা কেন্দ্রে বিভিন্ন ফল ও সবজি চাষের পরীক্ষা প্লট এবং টিস্যু গবেষণাগার ঘুরে দেখেন।
 
তাদের সঙ্গে ছিলেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা শরেদিন্দু দাস, উদ্যান এবং মৃত্তিকা সংরক্ষণ বিভাগের অধিকর্তা ড. ফণীভূষণ জমাতিয়া, নাগিছড়ার উদ্যান ও ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান সহ-অধিকর্তা ড. রাজীব ঘোষসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

পরিদর্শন শেষে উপাচার্য গিয়াস উদ্দিন বলেন, ত্রিপুরা আসাম এবং পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশের ভৌগলিক গঠনগত সম্পর্ক রয়েছে। মানুষের চেহারা, ভাষা, খাবার সবকিছুতেই মিল রয়েছে। সুতরাং কৃষিক্ষেত্রে ত্রিপুরা-বাংলাদেশের শিক্ষা ও গবেষণায় একে অপরের সহযোগিতা করতে পারে।

ত্রিপুরা এবং বাংলাদেশের আবহাওয়া একই রকম তাই এখানে যেসব ফল ও সবজির ফলন খুব ভালো হয় এগুলো বাংলাদেশ চাষ করা সম্ভব। একইসঙ্গে দুই দেশের উন্নত জাতের ফল এবং সবজির আদান-প্রদান সম্ভব।

উদ্যান এবং মৃত্তিকা সংরক্ষণ বিভাগের অধিকর্তা ড. ফণীভূষণ জমাতিয়া বলেন, বাংলাদেশ কৃষিতে যেসব নতুন নতুন পণ্য উদ্ভাবন করেছে তা রাজ্যে আনা যায় কিনা এই বিষয়ে আলোচনা চলছে। আগামীতে উভয় দেশের মধ্যে কৃষিজাত পণ্য আদান-প্রদান আরো বৃদ্ধি পাবে বলেও আশা ব্যক্ত করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২২
এসসিএন/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।