ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

রোজায় ত্রিপুরায় বাড়েনি ফলের দাম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০২২
রোজায় ত্রিপুরায় বাড়েনি ফলের দাম

আগরতলা(ত্রিপুরা): ইফতারের উপকরণের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ফল। বেশির ভাগ মানুষ ইফতারির সময় প্রথমে ফল খান এরপর অন্যান্য খাবার গ্রহণ করেন।

তাই এই সময় অন্য জায়গার মত ত্রিপুরাতেও ফলের চাহিদা অনেকটাই বৃদ্ধিপায়। রাজধানী আগরতলার বিভিন্ন জায়গাতে ফলের দোকান থাকলেও কামন চৌমুহনী এলাকায় সব চেয়ে বেশি সংখ্যাক ফলের স্থায়ী দোকান রয়েছে। এই দোকান গুলোতে নানা জাতের দেশি বিদেশি এবং মৌসুমি ফল খুচরা বিক্রি হয়। যেহেতু এই এলাকাটি রাজধানীর ব্যস্ততম তাই এখানে ফল কিনতে যেমন স্থানীয় এলাকার লোকজন আসেন তেমনি পথচারিরাও আসেন।

রোজা উপলক্ষে এই সময় ফলের দাম বৃদ্ধি হয়েছে কি? বিক্রি কেমন হচ্ছে এইসব প্রশ্নে খুচরো ব্যবসায়ীদের মধ্য থেকে মিশ্র পতিক্রিয়া পাওয়া যায়।

দিলীপ সাহা নামে এক ব্যবসায়ী জানান, রোজা উপলক্ষে ফলের দাম বাড়েনি। অন্যান্য বছরের মতোই স্বাভাবিক রয়েছে। সব ফলমূলের মধ্যে তুলনা মূলকভাবে তরমুজ অনেক সস্তা। যদিও রাজ্যের চাহিদার প্রায় ১০০ শতাংশ তরমুজ ভিন রাজ্য থেকে আমদানি করা হচ্ছে, এরপরও এই সময় ১ কেজি তরমুজ ৪০ রুপি করে বিক্রি হচ্ছে। আপেল ১৪০রুপি থেকে ১৫০রুপি প্রতি কেজি, মুসাম্বি লেবু প্রতি পিস ২৫রুপি, বড় আকারের মালটা প্রতি পিস ৩৫রুপি, ড্রাগন ফল প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩৫০রুপি, খেজুর প্রতি কেজি ২০০রুপি থেকে ১হাজার রুপি, মূলত ভিন্ন ভিন্ন জাত ভেদে দাম আলাদা হয়ে থাকে। আম প্রতি কেজি ৩০০থেকে ৪০০রুপি, আঙ্গুর ২০০রুপি প্রতি কেজি, পাকা পেঁপে ১০০ থেকে ১২০রুপি প্রতি পিস, তরমুজ প্রতি কেজি ৪০রুপি। চিনারের মত দেখতে হলুদ রঙের বিদেশি ফল এবার নতুন করে বাজারে এসেছে।

ব্যবসায়ীরা বলেন, এই ফলগুলোর নাম ফ্রুটি। এগুলো পিস হিসেবে বিক্রি হচ্ছে আকারের ওপর দাম নির্ভর করছে ১০০ বা তার বেশি।

তিনি আরও জানান, রোজা উপলক্ষে মুসাম্বি লেবু, তরমুজ, খেজুর ইত্যাদির দাম তুলনামূলক একটু বেশি। ত্রিপুরার ফল মূলত পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা এবং বিশেষ করে কলকাতা থেকে আমদানি হয়। ওইসব এলাকায় এখন দাম বেড়েছে ফলে ত্রিপুরাতে একটু বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এমনকি চাহিদামত এই সময় ফল পাওয়া যায় না।

স্থানীয়ভাবে এখানে ফলমূলের দাম বৃদ্ধি পায়নি বলেও তার দাবি।

এলাকার আরও এক খুচরো ফল বিক্রেতা রাজীব পাল জানান, এখানে রোজাকে কেন্দ্র করে নতুন করে ফলের দাম বৃদ্ধি পায়নি। কদিন আগে যেমন ছিল ঠিক তেমনি এখনো খুচরা বাজারে ফলের দাম রয়েছে। এই সময় মৌসুমি ফল তরমুজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।

ঠেলাগাড়িতে করে ফল বিক্রি করেন পরিতোষ দাস।

তিনি জানান, এই সময় তুলনামূলক কম পরিমাণ ফল বিক্রি হচ্ছে এর জন্য তিনি সামগ্রিক ভাবে মূল্যবৃদ্ধিকে দায়ী করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০২২
এসসিএন/এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।