ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

আগরতলায় বৃষ্টি উপেক্ষা করে প্রচারে বিজেপি ও তৃণমূল 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৯ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২২
আগরতলায় বৃষ্টি উপেক্ষা করে প্রচারে বিজেপি ও তৃণমূল 

আগরতলা (ত্রিপুরা): প্রবল বৃষ্টি উপেক্ষা করে রোববার (১৯জুন) ত্রিপুরা রাজ্যের উপনির্বাচনের প্রচারে আগরতলা এলেন প্রতিবেশী রাজ্য আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। আগরতলায় একটি প্রচার সভায় যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তার।

একই দিন উপনির্বাচনের প্রচারে ত্রিপুরা এসেছেন তৃণমূল কংগ্রেস দলের সর্বভারতীয় মুখপাত্র কুনাল ঘোষ, তৃণমূল কংগ্রেস দলের নেতা ও পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া এবং দলের সম্পাদিকা ও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী কৌশানি মুখার্জি।

আগরতলা পৌঁছে ত্রিনমূল নেতারা এক সংবাদ সম্মেলন করেন। এই সম্মেলনে কুনাল ঘোষ হিমন্ত বিশ্ব শর্মার ত্রিপুরা সফরের কটাক্ষ করেন।  

তিনি বলেন, হিমন্ত বিশ্বশর্মা একজন সম্মানিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব কিন্তু তিনি দায়িত্বশীল মুখ্যমন্ত্রীর নন। কারণ এই মুহূর্তে আসাম বন্যায় ভাসছে, লাখ লাখ মানুষ বিপন্ন। এমন পরিস্থিতিতে একজন দায়িত্বশীল মুখ্যমন্ত্রী অন্য রাজ্যে ঘুরে বেড়াতে পারেন না।

অপরদিকে তৃণমূল কংগ্রেস দলের সিনিয়র নেতা মানস ভুঁইয়া বিজেপি,  কংগ্রেস ও সিপিআইএম দলের তীব্র সমালোচনা করেন। পাশাপাশি তিনি বলেন, দীর্ঘ চল্লিশ বছর পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন কিন্তু সেই দলের হঠকারী সিদ্ধান্ত এবং মমতা ব্যানার্জির জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক কাজের জন্য তৃণমূল কংগ্রেস দলে যোগদান করেছেন। পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জাতীয়তাবাদী রাজনীতি ও দেশপ্রেমের প্রতীক বলেও আখ্যায়িত করেন মানস ভুঁইয়া।  
তার অভিমত ত্রিপুরা রাজ্যের মাটিতে কংগ্রেস মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছে না। একইভাবে বামফ্রন্টেরও করুণ দশা। তারা ধীরে ধীরে মাটিতে মিশে গিয়েছে। কিন্তু বর্তমানে উপরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস দল। ত্রিপুরা রাজ্যেও এই দলটি প্রতিনিয়ত এগিয়ে যাচ্ছে।  

মানস ভূঁইয়া অভিযোগ করেন, বিজেপি সংবিধানের বেদীমূলে আঘাত করেছে। মানুষের মৌলিক অধিকার ধ্বংস করে দিয়েছে। অত্যাচার এবং ভারতবর্ষকে খণ্ড-বিখণ্ড করাই তাদের লক্ষ্য। এই পরিস্থিতিতে মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবাংলার মতো ত্রিপুরা রাজ্যেও উন্নয়নের অগ্রযাত্রা শুরু করার জন্য তিনি রাজ্যবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তৃণমূলকে ভোট দিতে।

কৌশানি মুখার্জি রাজ্যবাসীর প্রতি আহ্বান জানান, তারা যেন তাদের মূল্যবান ভোট বিচার-বিশ্লেষণ করে দেন। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের মতো ত্রিপুরা কেউ একটি উন্নত রাজ্য গড়ে তোলার জন্য রাজ্যবাসীর দায়িত্ব রয়েছে।  

তিনি দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রী বদলের মতো ২০২৩ সালে ত্রিপুরা রাজ্যের ক্ষমতার পালাবদল হবে। ভারী বৃষ্টির কারণে আগরতলা শহরের যে বিশাল পরিমাণ পানি জমে আছে এইজন্য বর্তমান সরকারের সমালোচনা করেন কৌশানি।

পশ্চিমবঙ্গ থেকে আগত তৃণমূল নেতৃত্বের নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে তারা তাদের প্রচার কর্মসূচী কিছুটা কাটছাঁট করেছেন বলে এদিন জানানো হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৭ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২২
এসসিএন/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।