আগরতলা (ত্রিপুরা): ত্রিপুরা রাজ্যের অন্যতম বড় এবং প্রাচীন অভয়ারণ্য সিপাহীজলা জেলার সিপাহীজলা অভয়ারণ্য। এটি ১৮ দশমিক ৫৭ বর্গ কি.মি. জায়গা জুড়ে রয়েছে।
আবসারিকা বাংলোতে রয়েছে পর্যটকদের জন্য বনের মধ্যে রাত কাটানোর একটি দুর্দান্ত অভিজ্ঞতার সুযোগ। মার্চ-এপ্রিল এই দুই মাস ছাড়া সারা বছর সবুজে ঢাকা থাকে গোটা অভয়ারণ্য। এখানে প্রায় দেড়শ আদিবাসী, পাখি, বিরল প্রজাতির চশমা বানর, অন্যান্য বানরসহ বিভিন্ন জীবজন্তুর অবাধ বিতরণ রয়েছে।
এই অভয়ারণ্যকে দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের বন দপ্তরের মুখ্য বনাধিকারিক (পি সি সি এফ) ড. ডি কে শর্মা বাংলানিউজকে একথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, এর আধুনিকীকরণের যেসব পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে এর মধ্যে রয়েছে অভয়ারণ্যের মূল গেট থেকে পর্যটকদের চিড়িয়াখানা পরিদর্শনের জন্য শব্দহীন ও পরিবেশ দূষণমুক্ত ব্যাটারিচালিত গাড়ির ব্যবস্থা। চিড়িয়াখানার আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত উন্নয়নের দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অনেক নতুন প্রজাতির পশু-পাখী অন্য চিড়িয়াখানা থেকে আনা হবে। অভয়ারণ্যের চিড়িয়াখানা প্রায় ৬৮ হেক্টর এলাকা জুড়ে রয়েছে। ৫.০৮ বর্গ কি.মি. এলাকা জুড়ে রয়েছে মেঘলা চিতা জাতীয় উদ্যান এবং একটি প্রকৃতি শিক্ষা কেন্দ্র।
বর্তমানে চিড়িয়াখানায় যেসব পশুপাখি রয়েছে তাদের জন্য তিনটি নতুন ঘের (পরিবেষ্টনী) তৈরির কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে পুরাতন ঘেরগুলো মেরামত করা হবে। ভারত সরকারের কেন্দ্রীয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের ১০০ শতাংশ অর্থানোকুল্যে বিশেষ চারটি লুপ্ত প্রজাতির বিন্টুরং, শুকর লেজ বানর, মেঘলাচিতা এবং চশমা বানরের প্রজনন ঘের তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সিপাহীজলা চিড়িয়াখানাতে মিশ্র প্রজাতির পাখির ঘের করা হবে। এছাড়া অভয়ারণ্যে পশু-পাখীর উদ্ধার কেন্দ্রও স্থাপন করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৯ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০২২
এসসিএন/কেএআর