ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

ক্ষমতায় আসার পর নম্বর বাড়িয়েছি, শিক্ষার্থীদের মমতা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২২
ক্ষমতায় আসার পর নম্বর বাড়িয়েছি, শিক্ষার্থীদের মমতা

কলকাতা: করোনাকালে আমুল বদলে গেছে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থা। মা-মাটি-মানুষের সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় উজ্জ্বল দিক এসেছে।

 

সোমবার (১৪ নভেম্বর) কলকাতার নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে সরকারি অনুষ্ঠানে এমনটাই জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  

এদিন বিকেলে সরকারি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শিক্ষক থেকে অধ্যাপক এবং শিক্ষার্থীরা। ভারতের অন্যান্য শিক্ষা বোর্ডের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাপর্ষদের বিভেদ, অনেকটাই কমেছে বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী।  

মমতার বলেন, একটা সময় একেবারেই নম্বর পেত না শিক্ষার্থীরা। স্কুল-কলেজে তাদের হাত চেপে নম্বর দিত। আমরা নিজেরাই নম্বরই পেতাম না। এখন বেশিরভাগ শিক্ষার্থী ৮০ থেকে ৯০ করে নম্বর পাচ্ছে, প্রতি বিষয়ে।

কেন জানো? ‘আমাদের সরকার ক্ষমতায় আসার পর সবকিছু পাল্টে গেল। আমি বললাম, ‘সিবিএসসি’ আছে, ‘আসিএসই’ আছে, ওদের সঙ্গে পাল্লা দিতে হবে তো। ওদের ছেলে-মেয়েরা ৯৮-৯৯ মার্কস পাবে, সেখানে আমাদের ছেলে-মেয়েরা অর্থাৎ যারা পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষা পরিষদ, তারা নম্বর পাবে না, প্রতিযোগিতায় যোগ দেবে কি করে? বাড়িয়ে দাও নম্বর। এমনভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করো যেন সর্বভারতীয় স্তরে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে পারে ওরা।

করোনাকালে শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করেই নানান ব্যবস্থা নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। শুধু তাই নয়, রাজ্যে বেড়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১১ বছরে ৩০টা বিশ্ববিদ্যালয়। ১৪টি মেডিক্যাল কলেজ, কম করে ৭ হাজার স্কুল- রাজ্যে পড়াশোনায় সুযোগ এখন আকাশছোঁয়া। জলপাইগুঁড়ি, ঝাড়গ্রামের মত রাজ্যগুলোয় নতুন মেডিকেল কলেজ। ডাক্তারি পড়াশুনায় আরও ৬০০টা সিট বাড়ানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য একসময় আমরা পাইনি, তাই বলে আমার ভাইবোনেরা পাবে না?’ এছাড়াও রাজ্যে কন্যাশ্রী থেকে ঐক্যশ্রী, মেরিট কাম স্কলারশিপের কথাও বললেন তিনি।

এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে স্কুল শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন বিলির অনুষ্ঠানে তরুণদের উদ্দেশ্যে বলেন ‘আজ আছি কাল নেই, লোভ করে কি হবে।  

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কখনও লোভ করতে যেও না। আজ আছি কাল নেই, লোভ করে কি হবে। লোভ সম্বরণ করার চেষ্টা করবে, কোনোদিন বিপদে পড়বে না। লোভ সম্বরণ করি বলেই তো আমি পারি। আমি নিজে যে মানুষটা দাঁড়িয়ে আছি, আমার দাম কোটি কোটি টাকার চেয়েও বেশি। ’

মূলত, রাজ্য সরকারি স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে এদিনের এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল মমতার সরকার। তৃণমূল নেতৃত্বাধীন সরকার গোড়া থেকেই শিক্ষার্থীদের স্বার্থে কাজ করছে বলে এদিন দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। করোনাকালে লকডাউনের সময় রাজ্যের দেওয়া স্মার্টফোন পেয়ে পড়াশোনার ক্ষেত্রে উপকৃত হয়েছেন শিক্ষার্থীরা, এদিন এমনই দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তৃণমূল রাজ্য ক্ষমতায় আসার পর শিক্ষার অগ্রগতি হয়েছে।

অন্যদিকে, অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে এদিন মুখ্যমন্ত্রী নিশানা করেছেন বিরোধীদেরও। রাজ্যের উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বিজেপি, এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সাহায্য বন্ধ হওয়ার পিছনে চক্রান্ত রয়েছে। ’ তার অভিযোগ, রাজ্য বিজেপির নেতারাই দিল্লি গিয়ে কেন্দ্রকে এ রাজ্যে টাকা দিতে বারণ করছে। তার কথায়, ‘কিছু লোক, কুৎসা অপপ্রচার করে বেড়াচ্ছে। বাংলার বিরোধিতা করে চলেছে। বাংলার উন্নয়ন নিয়ে দিল্লিতে বসে কুটকাচালি করছে। বাংলার খেয়ে দিল্লিকে বলছে বাংলাকেই টাকা দিও না। ’

বাংলাদেশ সময়: ২৩৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০২২
ভিএস/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।