ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

ইডির তদন্ত শেষ দিকে, পি কে হালদারদের ২১ দিনের জেল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২২
ইডির তদন্ত শেষ দিকে, পি কে হালদারদের ২১ দিনের জেল

কলকাতা: বাংলাদেশের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ভারতে বন্দি পি কে হালদারসহ ছয় অভিযুক্তকে আবার ৮ ডিসেম্বর আদালতে তোলা হবে। বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) এই আদেশ দিয়েছেন কলকাতার নগর দায়রা আদালতের সিবিআই স্পেশাল কক্ষ-৪ এর বিচারক বিদ্যুৎ কুমার রায়।

২২ সেপ্টেম্বর শেষবার পি কে হালদারদের আদালতে তোলা হয়েছিল। ৫৬ দিন পর আজ তাদের ফের আদালতে তোলা হয়। অভিযুক্তদের পক্ষের আইনজীবীরা আদালতে অভিযোগ করেন, ইডি মামলার যে ১০০ পাতার নথির ফটোকপি তাদের হাতে দিয়েছিল তা অস্পষ্ট। ফটোকপির বদলে পেন ড্রাইভে সফট কপির দাবি করেন তারা। বিচারক তাতে অনুমতি দিলে ইডির আইনজীবী অরিজিত চক্রবর্তী তা অভিযুক্তদের আইনজীবীদের হাতে তুলে দেবেন বলে জানান। বিচারক পরবর্তী ৮ ডিসেম্বর শুনানির আদেশ দেন।

২২ সেপ্টেম্বর এক সূত্র থেকে জানা গিয়েছিল, এই মামলা আর দীর্ঘ করতে চায় না ভারত। সে কারণে নতুন করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আদালতে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দেননি ইডির আইনজীবী। মামলা দীর্ঘ না করে আগামী বছরের শুরুর দিকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হতে পারে পি কে হালদারসহ ছয় অভিযুক্তকে। সূত্র থেকে  জানা গিয়েছিল, হালদারদের ফেরত পাঠানো হতে পারে দুই দেশের মধ্যে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী।  

এদিন ইডির আইনজীবী বলেন, এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। তবে এদিনও সূত্র বলছে, আগামী বছরই হালদারদের বাংলাদেশে পাঠানো হবে। তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ অর্থ পাচার ও দুর্নীতি দমন আইনে মামলা রয়েছে।  

ইডি সূত্রের কাছে জানতে চাওয়া হয়, আদালতে পি কে হালদাররা বাংলাদেশি প্রমাণ হয়ে গেলেও ফরেনার্স অ্যাক্ট দেওয়া হয়নি কেন? সূত্র থেকে জানা যায়, ভারত মামলা দীর্ঘ করতে চায় না বলেই দেওয়া হয়নি।  

২০১ দিন ভারতের জেলে বন্দি হালদাররা। বাংলাদেশের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎকারী পি কে হালদার ও তার সহযোগীদের গত ১৪ মে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর  চব্বিশ পরগনার অশোকনগর থেকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় আর্থিক তদন্তকারী সংস্থা ইডি। এরপর ১৪ দিন রিমান্ডে পায় সংস্থাটি। গত ২৭ মে আদালতের রায় অনুযায়ী, বিচার বিভাগীয় তদন্তের কারণে ১১ দিনের জুডিশিয়াল কাস্টডি (জেসি) হয় পি কে হালদারদের।

ঠিক একইভাবে ৭ জুন আদালতে তোলা হলে তাদের বিরুদ্ধে ১৪ দিনের জেসি হয়। ২১ জুন আদালতের রায় অনুযায়ী, আরও ১৪ দিনের জেসি হয়। এরপর ৫ জুলাই আদালতে তোলা হলে ১০ দিনের জেসি দেন আদালত। ১৫ জুলাইয়ের রায় অনুযায়ী, ফের ১০ আগস্ট শুনানি হয় হালদারদের। ২২ সেপ্টেম্বর হালদারদের ৫৬ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারপতি। আজ (১৭ নভেম্বর) আদালতে তাদের তোলা হলে ফের ৪ ডিসেম্বর তোলার আদেশ দেন বিচারপতি।

পি কে হালদার ও তার পাঁচ সহযোগী আছেন কলকাতার প্রেসিডেন্সি জেলে। নারী সহযোগী আমিনা সুলতানা আছেন কলকাতার আলিপুর সংশোধনাগারে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৪ ঘণ্টা, ১৭ নভেম্বর, ২০২২
ভিএস/আরএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।