ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৯ আশ্বিন ১৪৩২, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৭

অর্থনীতি-ব্যবসা

মৌলভীবাজারে বাজুসের মতবিনিময়

চুরি ও ডাকাতির গহনা উদ্ধারে পুলিশ এখন ব্যাপক সক্রিয়

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:১০, ডিসেম্বর ২, ২০২২
চুরি ও ডাকাতির গহনা উদ্ধারে পুলিশ এখন ব্যাপক সক্রিয় ছবি: বাংলানিউজ

মৌলভীবাজার: চুরি ও ডাকাতির গহনা উদ্ধারে পুলিশ এখন ব্যাপক সক্রিয়। এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে জুয়েলারি শিল্প নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যাবে।

শুক্রবার (০২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মৌলভীবাজার শহরের বেঙ্গল কনভেনশন সেন্টারে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) সহ-সভাপতি ডা. আমিনুল ইসলাম শাহীন।  

তিনি বলেন, বাজুসের প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীরের নেতৃত্বে দেশের বাজারে বাজুসের স্বর্ণ যেমন রাজত্ব করবে, তেমনি বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের অলংকার উপস্থাপিত হবে। বাংলাদেশের অলংকার বিশ্ববাজারে নেতৃত্ব দেবে।

বাজুস যত শক্তিশালী হবে, তত আমরা আগাতে পারবো। প্রশাসনও জুয়েলারি মালিকদের পাশে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। প্রশাসনের হয়রানি আগের চেয়ে অনেক কমেছে, যোগ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, চুরি ও ডাকাতির গহনা উদ্ধারে পুলিশ এখন ব্যাপক সক্রিয়। এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে জুয়েলারি শিল্প নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যাবে।

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, গীতা পাঠ ও জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সভা শুরু হয়। এ সময় প্রধান অতিথি ডা. আমিনুল ইসলাম শাহীন ছাড়াও বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ল অ্যান্ড মেম্বারশিপের কার্যনির্বাহী সদস্য ও সদস্য সচিব মো. রিপনুল হাসান, বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য উত্তম ঘোষ, বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ডিস্ট্রিক্ট মনিটরিং নীহার কুমার রায় বক্তব্য দেন। মতবিনিময় সভায় বাজুস মৌলভীবাজার  জেলা শাখার সভাপতি পংকজ রায় (মুন্না) সভাপতিত্ব করেন।

মৌলভীবাজার জেলা শাখার সম্পাদক সোহেল আহমেদ খান পলাশের সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের বড়লেখা উপজেলার সভাপতি লুৎফুর রহমান, জুড়ি উপজেলার সভাপতি কামাল হোসেন, কুলাউড়া উপজেলার সভাপতি মিঠু দেবনাথ, রাজনগর উপজেলার সভাপতি কানাই দেব, শ্রীমঙ্গল উপজেলার সভাপতি শংকর বণিক প্রমুখ।

আমন্ত্রিত অতিথি এবং জেলাসদরসহ সাতটি উপজেলার নেতারা এতে অংশ নেন। স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা স্বর্ণ ক্রয়-বিক্রয় করতে গিয়ে নানা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। সেদিকে দৃষ্টি দেওয়ার আহ্বান জানানো হয় কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের প্রতি।  

উল্লেখ্য, মৌলভীবাজার জেলায় প্রায় ৫০০ স্বর্ণ ব্যবসায়ী রয়েছেন।  

মো. রিপনুল হাসান বলেন, বাজুসের কেন্দ্রীয় প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর সাহেবের একটাই বার্তা, সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। স্বর্ণ ব্যবসা করতে হলে বাজুসের মেম্বার হতে হবে।

উত্তম ঘোষ বলেন, সায়েম সোবহান আনভীরের নেতৃত্বে বাজুস দ্রুতগতিতে তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে যাচ্ছে।  

নীহার কুমার রায় মৌলভীবাজার স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, মৌলভীবাজার জেলায় গোল্ড টেস্টিং ল্যাব স্থাপন করুন। এর ফলে সাধারণ মানুষসহ সংশ্লিষ্টদের নিম্নমানের স্বর্ণ চিনতে সহজ হবে।

তিনি আরও বলেন, কেউ নিম্নমানের স্বর্ণ বিক্রি করতে পারবেন না। বাজুসের রেটে স্বর্ণ বিক্রি করতে হবে এবং কোয়ালিটি সম্পন্ন স্বর্ণ।  

সভা শেষে মুক্ত আলোচনায় বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত স্বর্ণব্যবসায়ীরা তাদের বিভিন্ন সমস্যা ও সংকট তুলে ধরে বাজুসের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, ২ ডিসেম্বর, ২০২২
বিবিবি/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।