ঢাকা, বুধবার, ২৮ কার্তিক ১৪৩১, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাংলাদেশে বাণিজ্য সহযোগিতা বাড়াতে চায় জাপান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২৩
বাংলাদেশে বাণিজ্য সহযোগিতা বাড়াতে চায় জাপান

ঢাকা: দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ার ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করেছে জাপান। বাংলাদেশ বর্তমানে এলডিসি গ্রাজুয়েশন করছে।

এটি শেষ হওয়ার পর দেশের বিভিন্ন প্রকল্পে আরও বিনিয়োগ সহযোগিতা বাড়াতে চাইছে পূর্ব এশিয়ার দেশটি।

এসব তথ্য জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। রোববার (২৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে নিজ কার্যালয়ে ঢাকায় নবনিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত আইওয়ামা কিমিনোরির সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি। সেখানেই কথাগুলো বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বড় উন্নয়ন সহযোগী জাপান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। অনেক গুলোর কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। জাপানও এখানে বিনিয়োগ করেছে। দেশটির কাছে আরও বড় ধরনের বিনিয়োগ আশা করে বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, ২০২৬ সালে বাংলাদেশ এলডিসি গ্রাজুয়েশন করবে। তখন বিভিন্ন দেশ থেকে বাণিজ্য সুবিধা পেতে মুক্তবাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) বা অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তির (পিটিএ) মতো বাণিজ্য চুক্তি করতে আমরা কাজ করছি। তখন বাংলাদেশকে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। বাণিজ্য সুবিধা বৃদ্ধির জন্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জাপানের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা ও দক্ষ নেগোসিয়েশনের সুবিধার্থে একটি জয়েন্ট স্টাডি গ্রুপ কাজ করতে প্রস্তুত।

মন্ত্রী আরও বলেন, এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর এফটিএ বা পিটিএ’র মতো বাণিজ্য সহযোগিতা চুক্তি করে উভয় দেশের ব্যবসা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিরে জন্য কাজ করা হবে। জাপান ইতোমধ্যে এ বিষয়ে ব্যাপক আগ্রহ প্রকাশ করেছে, সে মোতাবেক কাজ চলছে। উভয় দেশের ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীগণ সফর বিনিময় করলে বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত সহজ হবে।

পরে জাপানের রাষ্ট্রদূত আইওয়ামা কিমিনোরি বলেন, জাপান সরকার বাংলাদেশকে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে অধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকে। ২০২৬ সালে বাংলাদেশের এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর জাপান বাংলাদেশের পাশে থাকবে। জাপানের অনেক বিনিয়োগ আছেন এখানে। বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি করতে আমরা।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (ইপিএ) স্বাক্ষরের জন্য করণীয় ঠিক করতে সরকারি কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হচ্ছে। বাংলাদেশও একই ধরনের দক্ষ কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গ্রুপ গঠন করলে কাজ অনেক সহজ হবে। এতে দক্ষ ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন প্রতিনিধি থাকবে। যাতে করে সঠিকভাবে এ বিষয়ে এগিয়ে যাওয়া যায়। বাংলাদেশ সঠিক সময়েই এলডিসি গ্রাজুয়েশন পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার প্রস্তুতি শুরু করেছে। বাংলাদেশের উন্নয়নে জাপানের সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

সাক্ষাতের সময় উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) নূর মো. মাহবুবুল হক। পরে বাণিজ্যমন্ত্রী জাপান-বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নবনির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদের সদস্যগণের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এর আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিভিন্ন বাণিজ্য সংগঠনকে লাইসেন্স হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২৩
টিএ/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Veet