ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

২৪ হাজার টাকা মজুরি দাবি গার্মেন্টস শ্রমিকদের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৩
২৪ হাজার টাকা মজুরি দাবি গার্মেন্টস শ্রমিকদের

ঢাকা: সর্বনিম্ন মজুরি ২৪ হাজার টাকা ও ৩টি গ্রেড নির্ধারণ এবং বাৎসরিক ১০ শতাংশ মজুরি বাড়ানোসহ ছয় দফা দাবিতে মানবন্ধন করেছে গার্মেন্টস শ্রমিক পরিষদ।

গার্মেন্টস শ্রমিক পরিষদের নেতারা দাবি তুলে বলেন, গার্মেন্টসের উৎপাদন ও রপ্তানি দুটোই বিপুল পরিমাণে বেড়েছে।

কিন্তু শিল্পের উন্নয়নের কোনো ফলই গার্মেন্টস শ্রমিকরা পাচ্ছে না।

সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গার্মেন্টস শ্রমিক পরিষদ আয়োজিত মানববন্ধনে এসব দাবি জানানো হয়।

সভাপতির বক্তব্যে মো. আলাউদ্দিন মিয়া বলেন, দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে শ্রমিকদের মজুরি দিয়ে জীবনযাপন করা দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে খাদ্য, নিত্যপণ্য, চিকিৎসা, শিক্ষা ব্যয়, বাড়িভাড়া, যাতায়াত ভাড়া ব্যাপক হারে বাড়ায় অবিলম্বে নিম্নতম মঞ্জুরি বোর্ড গঠন এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সংগঠন ও জোটের পক্ষ থেকেও মজুরি বোর্ড গঠনের দাবি করে আসছে।  

তিনি বলেন, মজুরি নির্ধারণের ক্ষেত্রে শ্রম আইনের ১৪১ ধারা অনুযায়ী জীবনযাপন ব্যয়, জীবনযাপনের মান, দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয় বিবেচনা করে বর্তমান সময়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য করতে হবে।  ৭০শ তাংশ বেসিক মজুরি নির্ধারণ করে, নিম্নতম মজুরি ২৪ হাজার টাকা ঘোষণাসহ ৩টি গ্রেডে নির্ধারন করার দাবি জানাচ্ছি।

গার্মেন্টস শ্রমিক পরিষদের সদস্য সচিব ও রেডিমেড গার্মেন্টস ওয়ার্কস ফেডারেশনের সভাপতি দাগী ইয়াসমিন বলেন, শ্রম আইন অনুযারী সেই সেক্টরের জন্য মজুরি কমিশন গঠিত হবে। সেই সেক্টরের সর্বোচ্চ প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠনের প্রতিনিধিকে মজুরি বোর্ডের সদস্য করার জন্য আমরা অনুরোধ করছি। বর্তমানে শ্রমিকদের মজুরির সঙ্গে জীবনমানের খরচ এতই বৃদ্ধি পেয়েছে যে তা দিয়ে কোনোভাবেই শ্রমিকদের জীবিকা নির্বাহ হয় না।

তিনি বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিকরা দেশের মূল অর্থনৈতিক চালিকা শক্তি। অথচ তাদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তার কোনো ব্যবস্থা নেই। তাদের জন্য নেই কোনো প্রণোদনা ব্যবস্থা। তাই আমরা সব গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য অবিলম্বে রেশনিং ব্যবস্থা চালুর জোর দাবি জানাচ্ছি।

গার্মেন্টস শ্রমিক পরিষদের দাবিগুলো হলো-
১. গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য অবিলম্বে নিম্নতম মজুরি বোর্ড গঠন করতে হবে।
২. গার্মেন্টস সেক্টরের শ্রমিকদের প্রতিনিধিদের মজুরি বোর্ডের সদস্য করতে হবে।
৩. নিম্নতম মজুরি ২৪ হাজার টাকা (৭০ শতাংশ মূল বেসিক) ঘোষণাসহ ৩টি গ্রেডে নির্ধারণ করতে হবে।  
৪. প্রতি বছর ১০ শতাংশ বাৎসরিক মজুরি বাড়াতে হবে।
৫. নিম্নতম মজুরি ঘোষনায় বিলম্ব হলে মূল বেসিকের ৪০ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতা দিতে হবে।
৬. স্বল্পতম সময়ের মধ্যে সব গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে।

সভাপতিত্ব করেন গার্মেন্টস শ্রমিক পরিষদের আহ্বায়ক ও মুক্ত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. আলাউদ্দিন মিয়া।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন গার্মেন্টস শ্রমিক পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি জাহানারা বেগম, বাংলাদেশি গার্মেন্টস ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম, বাংলাদেশ ন্যাশনাল লেবার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মরিয়ম আক্তার, সম্মিলিত শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. নাহিদুল হাসান নয়ন, বাংলাদেশ ন্যাশনাল লেবার ফেডারেশনের সহ-সভাপতি মাহবুব আলম আকনসহ কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক নেতারা।

বাংলাদেশ সময়: ১২১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৩
ইএসএস/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।