ঢাকা, বুধবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ইইউতে কোয়ান্টিটিতে আমরা এক নম্বরে: বিজিএমইএ সভাপতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৫ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২৩
ইইউতে কোয়ান্টিটিতে আমরা এক নম্বরে: বিজিএমইএ সভাপতি

ঢাকা: তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, আপনারা দেখেছেন কীভাবে আমরা গার্মেন্টসকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছি। ১২ হাজার ডলার দিয়ে আমাদের যাত্রা শুরু হয়েছিল।

 

তিনি বলেন, যাত্রাটা প্রথম শুরু হয় রিয়াজ গার্মেন্টসের হাত ধরে। ১৯৭৮ সালে। এরপর এলো প্যারিস গার্মেন্টস। এখন ইইউতে কোয়ান্টিটিতে আমরা এক নম্বরে এসেছি, ভ্যালুতেও আমরা এক নম্বরে আসব।

বুধবার (২১ জুন) রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে বাংলাদেশের স্থানীয় ঐতিহ্যবাহী উপকরণ দিয়ে হাই-এন্ড পোশাক তৈরি শীর্ষক প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দেশের শত বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী উপকরণ ব্যবহার করে উচ্চ মানসম্পন্ন পাশ্চাত্য ঘরানার পোশাক পণ্য উদ্ভাবনের লক্ষ্য নিয়ে প্রকল্পটি দুই বছর আগে কার্যক্রম শুরু করে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার এনহ্যান্সড ইন্টিমেটেড ফ্রেমওয়ার্ক (ইআইএফ) প্রোগ্রামের সহযোগিতায় বিজিএমইএ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে।

এই প্রকল্পের অধীনে পোশাক শিল্প খাত থেকে ১৬০ জন অংশগ্রহণকারী, বিশেষ করে ফ্যাশন ডিজাইনার, উদ্ভাবক এবং স্থানীয় তাঁতিরা প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। প্রশিক্ষণের সময় তারা কিছু মুড বোর্ড তৈরি করেন।  

এ ছাড়া ফ্যাশন ডিজাইনিং ব্যাকগ্রাউন্ডের ২০ জনের সমন্বয়ে ৯টি দল ফিউশন পণ্যের কিছু প্রোটোটাইপ তৈরি করেছে। যেমন, বাংলাদেশের জামদানি, মসলিন এবং সিদ্ধ ব্যবহার করে ব্রাইডাল ওয়্যার, ইভিং গাউন, পার্টি ড্রেস ইত্যাদি।

দায়িত্ব নেওয়ার পর বিজিএমইএর উন্নয়ন হয়েছে উল্লেখ করে ফারুক হাসান বলেন, আগামী তিন মাসের মধ্যে এই ভবনে একটি মিউজিয়াম হবে। একটি এক্সিবিশন ফ্লোর থাকবে, অডিটোরিয়াম হচ্ছে। এখানে জব ফেয়ার হবে, জব প্লেসমেন্টের ব্যবস্থা হবে। তাঁতিদের পণ্য এখানে মার্কেটিং করে পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা করে দেব।

তিনি বলেন, এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যে নেটওয়ার্কিং, সেটাই ভবিষ্যতে কাজ করবে। লোকাল যে ব্র্যান্ড আছে, তাদেরও এখান থেকে আমরা প্রমোট করব। আমাদের মার্কেট শেয়ার ৭ শতাংশের নিচে। ১২ শতাংশে এটি আমরা নিতে চাই। নিতে পারলে আমাদের স্বপ্নের ১০০ বিলিয়ন ডলারের যে স্বপ্ন, সেটি পূরণ হবে।

তিনি আরও বলেন, ভারতে আমরা ১ বিলিয়ন ডলারের উপর পণ্য রপ্তানি করেছি। ওদের সব আছে, তুলা আছে, এরপরও এই অ্যামাউন্টটা হিউজ। জাপানেও আমরা দেড় বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি করেছি। এগুলো কিন্তু পুরোনো নয়। গত দুই বছরে এটি আমরা অর্জন করেছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা আরেকটি যে উদ্যোগ নিয়েছি, সেটা রিসাইকেল নিয়ে। আমরা বাংলাদেশকে একটি রিসাইকেল হাব হিসেবে গড়ে তুলব। আমাদের যে কাপড়গুলো থাকে, ওয়েস্টেজ থাকে, এগুলো কীভাবে রাখবো, সেটা একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। আমরা দেখেছি ৫ মিলিয়ন ডলারের রিসাইক্লিং করলে ৫০ মিলিয়নে রূপান্তর করা যাবে।

অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ সভাপতি একটি নতুন হেরিটেজ ওয়েবসাইট উদ্বোধন করেন। ওয়েবসাইটটিতে স্থানীয় ঐতিহ্যের পণ্য, অনন্য নকশা শৈলী, কারুশিল্প, বয়ন কৌশল, তাঁতিদের সম্পর্কে তথ্য, তাদের ব্যক্তিগত গল্পগুলো তুলে ধরা হবে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেন, ইআইএফ প্রোগ্রামের আওতায় আমরা খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প, কৃষি, চামড়া এবং অন্যান্য খাতের সাথে কাজ করেছি- প্রথম দিকে পোশাক শিল্পের মতো এরকম খাতে এ ধরনের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা আসলেই চ্যালেঞ্জিং ছিল, যেহেতু ধারণাটাই খুব সাম্প্রতিক এবং উদ্ভাবনামূলক। তবে প্রকল্পের শেষে আমরা সবাই অত্যন্ত বিস্ময়ের সাথে দেখছি যে, পোশাক শিল্প সকল মানদণ্ড রক্ষা করে কর্মসূচি বাস্তবায়নে সেরা হয়েছে।

পরে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের সনদপত্র প্রদানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়। সমাপনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন  বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউএফটি) এর প্রো ভাইস চ্যান্সেলর ড. ইঞ্জি. আইয়ুব নবী খান, বিজিএমইএর পরিচালক নীলা হোসনা আরা প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৩ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২৩
এমকে/আরএইচ

তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান। ছবি: রাজীন চৌধুরী
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।