ঢাকা, বুধবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ভারতে ইলিশ রফতানি নিয়ে শঙ্কা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৩
ভারতে ইলিশ রফতানি নিয়ে শঙ্কা

যশোর: আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রতিবেশী দেশ ভারতে প্রায় ৪ হাজার  মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির বিশেষ অনুমতি দিয়েছে সরকার। তবে দেশে ইলিশ সংকটসহ নানা প্রতিবন্ধকতায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রফতানি শেষ করা নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।

এতে সময়সীমা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন। এমনকি ভারতীয় আমদানিকারকরা সময় বাড়ানোর দাবি নিয়ে ইতোমধ্যে কলকাতাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে চিঠি পাঠিয়েছেন।

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ইলিশ রফতানি অনুমোদনের গত ৪ দিনে মাত্র ১১৮ টনের মতো ইলিশ ভারতে রফতানি হয়েছে। এরমধ্যেই স্থানীয় বাজারে ইলিশ সংকট তৈরি হওয়ায় দামও বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে।

সংশিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দেশে তুলনামূলক ইলিশের জোগান না থাকলেও প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সুসম্পর্কের কারণে প্রতিবছর দুর্গপূজায় ওপার বাংলার মানুষের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণে ইলিশ রফতানির অনুমতি দিয়ে আসছে সরকার। এ বছরও দেশের ৭৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৩ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দিয়ে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছে। তবে অক্টোবর মাস ইলিশ প্রজননের কারণে ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ আহরণ ও বিক্রি নিষেধাজ্ঞা জারিতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রফতানি সমাপ্ত নিয়ে দুঃচিন্তায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। গত বছরও অনুমতির সব ইলিশ রফতানি করতে পারেনি ব্যবসায়ীরা। এতে এ বছর রফতানির সময়সীমা আরও বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন আমদানি-রফতানিকারকরা।

এদিকে ইলিশ রফতানির খবরে বেনাপোলসহ আশপাশের এলাকার বাজারগুলোতে ইলিশ সংকট দেখা দিয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে লাগামহীন দাম বাড়ানোয় সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে রসনাবিলাস বাঙালির জাতীয় মাছ ইলিশ। চড়া দামের কারণেই মধ্য ও নিম্নবিত্ত মানুষের অধিকাংশের পাতে এখনও ওঠেনি ইলিশ।

ইলিশ বিক্রেতারা জানান, ভারতে রফতানির কারণে ইলিশ মিলছে না আড়তগুলোতে, যা পাওয়া যাচ্ছে প্রায় দ্বিগুণ দামে কিনতে হচ্ছে। এ কারণে বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। ছোট ইলিশ ৫০০ থেকে হাজার টাকা ও বড় ইলিশ ২ হাজার থেকে ২২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

ইলিশ রফতানিকারক সততা ফিসের ম্যানেজার রকি মাহামুদ জানান, ইলিশ প্রজননের জন্য ২২ দিন ইলিশ ধরা ও ক্রয়, বিক্রয় নিষেধ করেছে সরকার। এ বছর ইলিশ রফতানির সময় বাড়ানো না হলে অনুমোদিত ইলিশ নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ রফতানি করা কঠিন হয়ে যাবে।  

বেনাপোল স্থলবন্দরের ফিসারিজ কোয়ারেন্টাইন অফিসার মাহাবুবুর রহমান জানান, গত বছর ৬০ জন রফতানিকারককে ৩ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দিয়েছিল সরকার। ব্যবসায়ীরা রফতানি করতে পেরেছিলেন ১ হাজার ৩০০ টন। গত বছর ইলিশ রফতানি শেষ করতে পারেনি রফতানিকারকরা। এ বছর ৩ হাজার ৯৫০ টনের অনুমতি পেয়েছে ৭৯টি প্রতিষ্ঠান। গত ৪ দিনে মাত্র ১১৭ মেট্রিক টন ৯০০ কেজি ইলিশ রফতানি হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০০৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৩
ইউজি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।