ঢাকা: এক বছর আট মাসে সাময়িক অনুমোদন পেয়েছে ৩৫৭টি ক্ষুদ্র ঋণদানকারী সংস্থা (এনজিও)। মাইক্রো ক্রেডিট রেগুলেটরি অথোরিটির (এমআরএ) হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
অন্যদিকে, ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত ১২ বছরে সনদ বাতিল হয়েছে ১৫১টি ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণকারী সংস্থার। ২০১১-১২ অর্থবছর থেকে এ সব ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণকারী সংস্থার সনদ বাতিল হয়েছে। একই সময়ে চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে ২৯০টি ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণকারী সংস্থা।
এনজিওগুলোর সনদ নবায়ন না করা, সন্দেহজনক লেনদেন ও এমআরএর নির্দেশনা মেনে ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা না করার কারণে এসব এনজিওর সনদ বাতিল করা হয়েছে।
২০২২-২৩ অর্থবছরে বাতিল হওয়ার ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হলো, নওগাঁর অ্যাসোসিয়েশন ফর সোশ্যাল অর্গানাইজেশন ইন পাহাড়পুর (এ্যাসেপ), চাঁপাইনবাবগঞ্জের গ্রাম্য দারিদ্র্য নিবারণ সংস্থা (এলআইপিই), চট্টগ্রামের নওজোয়ান, চাঁদপুরের স্টেপ ফর অ্যাডভান্স ইকোনমি (সেফ), দক্ষিণের জেলা ভোলার স্যালভেশন অব উইমেন লোকাল অ্যাসোসিয়েশন (শ্যাওলা), ঢাকার ব্যাসিক ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি, বরগুনার আজাদ উন্নয়ন সংস্থা (আউস), ঢাকায় আশুলিয়ার সূর্য সারথি ফাউন্ডেশন, ঢাকার সচেতন সাহায্য সংস্থা, কুড়িগ্রামের সততা সংস্থা (এসএস) ও ঝিনাইদহের সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যাডভান্স কমিটি (সাকো)।
তথ্য বলছে, সর্বশেষ এক বছরে একটি মাত্র এনজিও জয় বাংলা নারী উন্নয়ন সংস্থা চূড়ান্ত নিবন্ধন পেয়েছে।
এখনও প্রান্তিক মানুষের ঋণের প্রধান ভরসা ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণকারী সংস্থাগুলো। সর্বশেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরে সাত শতাধিক এনজিওর মাধ্যমে প্রায় চার কোটি মানুষের কাছে দুই লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছে, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ৩৫ শতাংশ বেশি। আগের বছরে ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থাগুলোর মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছিল এক লাখ ৯৩ হাজার কোটি টাকা।
এসব ঋণ ২৫ হাজার শাখার মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে। যেখানে নিয়োজিত আছে প্রায় দুই লাখ মানুষ।
বাংলাদেশ সময়: ২১২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩
জেডএ/এসআইএ