ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

চিলাহাটি স্থলবন্দর চালুর অপেক্ষায় উত্তরের মানুষ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২৩
চিলাহাটি স্থলবন্দর চালুর অপেক্ষায় উত্তরের মানুষ

নীলফামারী: উত্তর জনপদের নীলফামারী জেলার চিলাহাটি বন্দর হবে দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও লাভজনক স্থলবন্দর। এই স্থল বন্দর দিয়ে ভারত নেপাল ও ভুটান বাণিজ্যিক সুবিধা অর্জন করা যাবে।

বদলে যাবে এলাকার আর্থ সামাজিক চিত্র। দেশ স্বাধীনের পর থেকেই উত্তর জনপদের মানুষের প্রাণের দাবি এই রেলপথটি পুনরায় চালু করার।  

অবহেলিত এই জনপদের মানুষের দাবিতে ২০১৩ সালে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে চিলাহাটি স্থলবন্দরের গেজেট প্রকাশিত হয়। গেজেট প্রকাশের ১০ বছর পর সরকার সার্বিক দিক বিবেচনা করে ব্রিটিশ আমলের বন্ধ হওয়া রেলপথটি পুনরায় চালু করেছে। দীর্ঘদিন পর বন্ধ থাকা রেলপথ চালু করায় চিলাহাটিসহ গোটা উত্তরের মানুষ উল্লসিত।  

এই রেলপথ দিয়ে ঢাকা-নিউ জলপাইগুড়ি-মিতালী এক্সপ্রেসসহ মালবাহী ট্রেন নিয়মিত চলাচল শুরু করেছে।  

ব্রিটিশ আমলে প্রসিদ্ধ ব্যবসা কেন্দ্র হিসাবে দেশ-বিদেশ খ্যাত ছিল নীলফামারী জেলার চিলাহাটির নাম। সে সময় চিলাহাটি-হলদিবাড়ী রেলপথে শুল্ক স্টেশন ও ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট চালু ছিল। ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের সময় বন্ধ হয়ে যায় চিলাহাটি হলদিবাড়ি রেলপথ। তবে চিলাহাটি হলদিবাড়ি পাসপোর্ট যাত্রীদের যাতায়াত চালু ছিল। ২০০২ সালে চেকপোস্টটি বন্ধ হওয়ায় পাসপোর্ট যাত্রীদের যাতায়াতও বন্ধ হয়ে যায়।  

 দীর্ঘদিন পর চিলাহাটিকে আন্তর্জাতিক রেলস্টেশন গড়ে তোলার লক্ষ্যে নির্মাণ করা হচ্ছে আইকনিক ভবন, তৈরি করা হয়েছে চিলাহাটি হলদিবাড়ি রেলপথ সংযোগসহ অন্য অবকাঠামো। এরই মধ্যে আইকনিক ভবন নির্মাণের কাজ ৬০ শতাংশ শেষ হয়েছে। নতুন ভাবে সাজানো হয়েছে দুটি প্ল্যাটফর্ম ওভারব্রিজ নির্মাণের কাজ শেষের দিকে। যা পণ্য ওঠা নামাসহ যাত্রীরা অন্য স্থলবন্দরের চেয়ে অনেক সুবিধা ভোগ করতে পারবে। বাণিজ্যিক দিক দিয়ে লাভবান হবে উভয় দেশ। চিলাহাটিতে বাণিজ্যিক সুবিধার দিক দিয়ে সকল অবকাঠামো রয়েছে। এখানে রয়েছে দুটি বাণিজ্যিক ব্যাংক সরকারি খাদ্য গুদাম পুলিশ চেকপোস্ট। যোগাযোগের ক্ষেত্রে চিলাহাটি থেকে রেলপথে সরাসরি ঢাকা খুলনা রাজশাহী দুইটি করে আন্তঃনগর ট্রেন চালু আছে। এছাড়া চিলাহাটির ওপর দিয়ে মহাসড়কের কাজ শুরু হয়েছে।

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাশাপাশি থাকা অরুণাচল প্রদেশ, মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, আসাম, মেঘালয় ও ত্রিপুরা রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগের সুবিধা বাড়বে। এছাড়া সার্কভুক্ত ভুটান, নেপাল আর চীনের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে যোগ হবে নতুন মাত্রা। ঘুচবে বেকারত্ব। রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির ফলে দেশ হবে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ। এতে দ্রুত পাল্টে যাবে উত্তরাঞ্চলের চিত্র। তবে এত সুযোগ-সুবিধা ও ব্যাপক সম্ভাবনা থাকলেও গেজেট হওয়ার পরও কেন চালু হচ্ছে না স্থলবন্দরটি প্রশ্ন স্থানীয়দের।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২৩
এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।