ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

কৃষিপণ্য রপ্তানি বাড়াতে পর্যাপ্ত কার্গো ফ্লাইট চান রপ্তানিকারকরা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৭ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২৪
কৃষিপণ্য রপ্তানি বাড়াতে পর্যাপ্ত কার্গো ফ্লাইট চান রপ্তানিকারকরা

ঢাকা: ফল ও শাক-সবজিসহ অন্যান্য কৃষিপণ্যের রপ্তানি বাড়াতে পর্যাপ্ত কার্গো ফ্লাইট চান রপ্তানিকারকরা। পাশাপাশি রপ্তানির বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে ফ্লাইটের ভাড়া বা ফ্রেইট কস্ট যৌক্তিক পর্যায়ে রাখার দাবি জানিয়েছেন এই খাতের ব্যবসায়ীরা।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকালে রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআইয়ের কার্যালয়ে সংগঠনটির ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট অব ফ্রুটস অ্যান্ড ভেজিটেবল বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় এ খাতের ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারকরা এমন দাবি তুলে ধরেন।  

সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান এবং জেনারেল ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মনসুর। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক সিরাজুল ইসলাম।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি অংশ নেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম। তিনি বলেন, ডলার সংকট, বাড়তি বিমান ভাড়া, কাস্টমস এবং এইচএস কোড সংক্রান্ত নানা জটিলতার কারণে পণ্য আমদানি ও রপ্তানির ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। এতে ব্যবসা পরিচালনার ব্যয়ও বেড়ে যাচ্ছে। পণ্য আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত সমস্যা দূরীকরণে এফবিসিসিআই এরই মধ্যে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করেছে।

এসময় ফল ও শাক-সবজি আমদানি-রপ্তানিতে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও করণীয় নির্ধারণে কমিটির সদস্যদের কাছে সুচিন্তিত মতামত আহ্বান করেন এফবিসিসিআই সভাপতি।

জাতীয় অর্থনীতিতে কৃষির গুরুত্ব তুলে ধরে এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, ফল, শাক-সবজিসহ কৃষিপণ্য রপ্তাতিতে শতভাগ স্থানীয় ভ্যালু অ্যাডিশন হয়। সুতরাং এসব পণ্যের রপ্তানি বিঘ্নিত করা যাবে না। রপ্তানি বাড়াতে বিমান ভাড়া, কার্গো প্রাপ্তি, কাস্টমসসহ সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে। পাশাপাশি উপযুক্ত নীতি ও নির্ভুল তথ্যভাণ্ডার গড়ে তুলতে গুরুত্ব দিতে হবে।

সভার উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে ফল ও শাক-সবজি রপ্তানির জটিলতা দূর করতে বিমানবন্দরে এক্সপ্লোসিভ ডিটেকশন স্ক্যানার (ইডিএস) মেশিনসহ কারিগরি সক্ষমতা বৃদ্ধির সুপারিশ করেন কমিটির সদস্যরা। এছাড়া কৃষকের হাতের নাগালে আধুনিক ওয়্যারহাউজ স্থাপন, উন্নত পরিবহন ও সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ, পচনশীল পণ্যের জন্য বিমানবন্দরে বিশেষ ওয়্যারহাউজ স্থাপন, কৃষিপণ্যের জাত এবং গুণগত মান উন্নয়ন, চাষ পরবর্তী ব্যবস্থাপনা (পোস্ট হার্ভেস্ট ম্যানেজমেন্ট) উন্নত করা, প্যাকেজিং প্রভৃতি বিষয়ে কৃষক, রপ্তানিকারণসহ অন্যান্য অংশীজনদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে উদ্যোগ নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয় ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২৪
জেডএ/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।