ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

নোটিশ না দিয়ে কারখানা বন্ধ, কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০২৪
নোটিশ না দিয়ে কারখানা বন্ধ, কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

ঢাকা: কোনো ধরনের নোটিশ না দিয়ে, শ্রমিকদের না জানিয়ে গত ঈদের ছুটিতে বিএনএস গ্রুপের দুটি কারখনা বন্ধ করে দিয়েছে মালিকপক্ষ। বন্ধের আগে বকেয়া বেতন পর্যন্ত পরিশোধ করেনি প্রতিষ্ঠানটি।

এমন পরিস্থিতিতে গত চার মাস ধরে কারখানাটির শ্রমিকরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এমতাবস্থায় কঠোর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ভুক্তভোগী শ্রমিকরা

রোববার (৭ জুলাই ) রাজধানীর পল্টন মুক্তি ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান শ্রমিকরা।  

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের অর্থ সম্পাদক কাজী রুহুল আমিন, ন্যাশনাল কেমিক্যাল ম্যানুফেকচারিং লিমিটেড শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. মাফুজুল ইসলাম, এবিকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি কামরুজ্জামান রাসেলসহ ইউনিয়নের অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে তারা জানান, গাজীপুরে এমএনএইচ বুলু'র মালিকানাধীন বিএনএস গ্রুপের দুইটি কারখানা ন্যাশনাল কেমিক্যাল ম্যানুফেকচারিং এবং এবিকো ইন্ডাস্ট্রিজের কর্মরত শ্রমিকদের যথাক্রমে ৫ ও ৩ মাসের বকেয়া বেতন এবং ঈদ বোনাস পরিশোধ না করে বন্ধ করে দিয়েছে। কারখানা বন্ধের আগে শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের ব্যাংক লোন পাস করে দিতে চাপ দিয়েছে মালিকপক্ষ। আর এই লোন পাস করানো ট্রেড ইউনিয়নের কাজ নয়।  

তারা জানান, ইতঃপূর্বে দুটি কারখানার  শ্রমিকদের পক্ষ থেকে বকেয়া বেতন পরিশোধের জন্য শ্রম প্রতিমন্ত্রী বরাবর আবেদন করা হয়েছে। এছাড়া গত ২ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি পেশ করা হয়েছে।  কিন্তু আজও কোনো সমাধান হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের পরিবার পরিজন নিয়ে অনাহারে-অর্ধাহারে মানবেতর জীবনযাপন করছে। বাড়ি ভাড়া দিতে না পারায় অনেক শ্রমিককে বাড়িওয়ালা বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন। অর্থাভাবে অনেক শ্রমিকের সন্তানের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বৃদ্ধ মা-বাবাসহ পরিবারের সদস্যদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করানো যাচ্ছে না।

তারা আরও জানান, গত ৩ মাস যাবৎ লাগাতার আন্দোলন করে যাচ্ছে শ্রমিকরা। একাধারে তিনদিন শ্রম ভবনের সামনে লাগাতার অবস্থান আন্দোলনের পর শ্রম অধিদপ্তরে ৭ জুলাই ত্রিপক্ষীয় সভা আহ্বান করেছিল। কিন্তু মালিক উপস্থিত হননি। এর আগেও ২টি সভায় মালিকপক্ষ উপস্থিত হননি। এমন পরিস্থিতিতে  শ্রমিকদের দাবি আদায়ের সংগ্রাম অব্যাহত আছে। আগামী ৯ জুলাই সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করা হবে। সমাবেশ শেষে মিছিলসহ এফবিসিসিআই-এর সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে শ্রমিকরা। এরপরও শ্রমিকদের দাবি মানা না হলে শ্রম মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভ এবং শ্রম ভবনের সামনে লাগাতার অবস্থানসহ নানা কর্মসূচি পালন করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৩০ ঘণ্টা, জুলাই ০৮,  ২০২৪
জেএইচ/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।