ঢাকা: দেশের ২০ থেকে ২২ শতাংশ পোশাক শিল্প-কারখানা এখনো পুরোপুরি কমপ্লায়েন্স বাস্তবায়ন করতে পারেনি। এসব নন-কমপ্লায়েন্স কারখানার কারণেই পোশাক শিল্পে অস্থিরতা সৃষ্টি হচ্ছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বৃহস্পতিবার ‘সোশ্যাল কমপ্লায়েন্স ফোরাম ফর রেডিমেড গার্মেন্টস’-এর ১৫তম বৈঠকে এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান।
এসময় মন্ত্রী কমপ্লায়েন্স বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ প্রতিনিধির বক্তব্য জানতে চান।
জবাবে বিজিএমইএ প্রতিনিধি জানান, নন-কমপ্লায়েন্স কারখানাগুলোতে পর্যায়ক্রমে কমপ্লায়েন্স বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
বিজিএমইএ প্রতিনিধি আরো জানান, কিছু কিছু কারখানা এমন জায়গায় স্থাপন করা হয়েছে যে স্থান ও পরিবেশগত কারণে যেখানে কমপ্ল্যায়েন্স বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না।
স্থানগত সমস্যার কারণে যেসব কারখানায় কমপ্লায়েন্স বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না সেসব কারখানা অবিলম্বে ঢাকার বাইরে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
বৈঠকে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ১ হাজার ৩৬৫টি পোশাক শিল্প কারখানা ও ১৭৮টি নিটওয়্যার কারখানার ওপর পরিচালিত জরিপ প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়।
দেশের এক হাজার ৩৬৫টি পোশাক কারখানার মধ্যে মাত্র ৩৬ শতাংশ নারীদের জন্য পৃথক শৌচাগার রয়েছে এবং ৬০ শতাংশ কারখানার নারী শ্রমিকরা মাতৃত্বকালীন ছুটি পান বলে বৈঠকে জানানো হয়।
এ দুটি বিষয় এক মাসের মধ্যে সব কারখানায় বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিং-এ ভারপ্রাপ্ত বাণিজ্য সচিব গোলাম হোসেন জানান, পোশাক শিল্প শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি, নিয়োগ ও পরিচয়পত্র প্রদান, সময়মতো বেতন-ভাতা ও ওভারটাইম প্রাপ্তি, সাপ্তাহিক ছুটিসহ অন্যান্য ছুটি প্রাপ্তি, নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি, শ্রমিকদের নিয়ে পার্টিসিপেশন কমিটি গঠনসহ ২০টি সুনির্দিষ্ট বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময় ১৭২৯ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১০