ঢাকা: দেশের মানুষ প্রয়োজনের চেয়ে অনেক কম ডিম ও মুরগি খান বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ পোল্ট্রি শিল্প সমন্বয় কমিটি (বিপিআইসিসি)।
বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ‘সরকারি-বেসরকারি পরিকল্পনা প্রণয়ন কর্মশালা: ২০২১ সালের প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক কর্মশালায় এ মন্তব্য করা হয়।
আগামী প্রজন্মের সুস্থতা ও মেধার বিকাশ এবং বর্ধিত জনসংখ্যার চাহিদা মেটাতে ডিম ও মুরগির মাংসের উৎপাদন কতোখানি বাড়ানো প্রয়োজন এবং এ ক্ষেত্রে বিনিয়োগের চিত্র সম্পর্কে আলোচনার লক্ষ্যে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
এতে পোল্ট্রি নীতিমালা, আমদানি-রফতানি নীতিমালা ও কর কাঠামোয় সংশোধন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত ও ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণ, বার্ড ফ্লুসহ অন্যান্য রোগের প্রতিষেধক ব্যবহার ও দেশের পোল্ট্রি শিল্পকে রোগ সংক্রমণ থেকে নিরাপদ রাখার পরিকল্পনাসহ আরও বেশ কিছু বিষয়ও এ কর্মশালার আলোচ্যসূচিতে রয়েছে।
কর্মশালা থেকে জানা গেছে, দেশে জনপ্রতি বার্ষিক ডিম খাওয়ার পরিমাণ ৪০ থেকে ৪৫টি এবং মুরগির মাংসের পরিমাণ মাত্র ১ দশমিক ৭১ কেজি।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার মতে, সুস্থ থাকতে একজন মানুষের বছরে গড়ে ১০৪টি ডিম খাওয়া প্রয়োজন।
কর্মশালায় উপস্থিত আছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক, এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক অজয় কুমার রায়, গবেষক, পোল্ট্রি ব্রিডার্স ও হ্যাচারির মাঝারি ও বৃহৎ খামারি, কাঁচামাল সরবরাহকারী, ওষুধ প্রস্তুতকারক ও সরবরাহকারীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৫
এফবি/আরএইচ/এএসআর