ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

রোদ চশমা না হলে কি চলে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০১৭
রোদ চশমা না হলে কি চলে রোদ চশমা না হলে কি চলে/ছবি: রানা-বাংলানিউজ

ঢাকা: ফ্যাশনের একাল-সেকাল বলে কথা নয়। সব কালের ফ্যাশনেই রোদ চশমার ব্যবহার একটি বিশেষ অনুষঙ্গ। শিশু থেকে শুরু করে ফ্যাশনেবল প্রবীণের চোখেও তাই শোভা পায় পণ্যটি।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে চলমান ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় (ডিআইটিএফ) সব ধরনের পণ্যের পাশাপাশি ব্যবসায়ীরা স্টল সাজিয়েছেন চশমা দিয়েও।
 
মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে, সব বয়সের মানুষই কিনে নিচ্ছেন পছন্দের রোদ চশমাটি।

তবে এক্ষেত্রে  স্টলগুলোতে তরুণ-তরুণীদের ভিড় একটু লক্ষ্য করার মতই।
 
ব্যবসায়ীরাও ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে এনেছেন নানা রঙ আর ডিজাইনের রোদ চশমা। তবে এগুলোর বেশি ভাগই চায়না থেকে আমদানি করা।
 
ফাইবার, প্লাটিক ও কাঁচের তৈরি রোদ চশমারগুলোর দাম রাখা হচ্ছে ১৫০ থেকে ১ হাজার ৫শ টাকা পর্যন্ত। এক্ষেত্রে প্লাস্টিকের রোদ চশমা সার্বোচ্চ ১৫০টাকা, ফাইবারের ১ হাজার টাকার ওপরে আর কাঁচেরগুলোর দাম রাখা হচ্ছে সাড়ে ৫শ টাকা পর্যন্ত।
 
তবে দাম নিয়ে ক্রেতারা তরুণীরা সন্তুষ্ট নয়। তাদের মতে নিউমার্কেটের সামনে যে রোদ চশমা পাওয়া যায়, সেগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে এগুলো আরো নিম্নমানের। কিংবা একই মানের হলেও দাম বেশি। কিন্তু মেলার দোকানগুলোর চশমার ডিজাইন অনেক।
 
সুপর্ণা দাশকে তালুকদার ট্রেডার্সের স্টল থেকে চশমা না নিয়েই বের হতে লক্ষ্য করা গেল। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ডিজাইন পছন্দ হলেও মান ভালো না। তাই নিচ্ছি না। আবার যেটার মান ভালো, সেটার ডিজাইন পছন্দ হয়নি।
 
তবে বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা রফিকুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, সাড়ে তিনশ টাকায় রোদ চশমা নিলাম। বাইরের থেকে একটু দাম বেশি মনে হলো। তবে ডিজাইনটা পছন্দ হয়েছে। আর রোদ চশমা লাগেই।
 
কলেজ শিক্ষার্থী শিশির চৌধুরী বলেন, সানগ্লাস না হলে কি চলে? তাই পছন্দের কালারের গ্লাস নিয়ে নিয়েছি।
 
মেসার্স তালুকদার ট্রেডার্সের বিক্রয়কর্মী জীবন বাংলানিউজকে বলেন, দামাদামির সুযোগ তো রয়েছে। সবাই দেখেই চশমা কিনছেন। আর ডিজাইন বেশি। মান হচ্ছে দাম অনুযায়ী। যে যেটা নেন।
 
তিনি বলেন, মেলা এখনো জমে উঠেনি। মোটামুটি বিক্রি হচ্ছে। আশাকরি কয়েকদিন পর বিক্রি আরো বাড়বে।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১৭
ইইউডি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।