ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

আরও চামড়া শিল্পনগরী নির্মাণে এগিয়ে আসুন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০১৭
আরও চামড়া শিল্পনগরী নির্মাণে এগিয়ে আসুন

ঢাকা: বর্তমানে পোশাক শিল্পের পরেই অর্থনীতির চাকা চাঙ্গা করতে অবদান রাখছে চামড়া শিল্প। বিদেশে বাংলাদেশের চামড়াজাত পণ্যের চাহিদা বেড়েই চলেছে। এ চাহিদা পূরণে আরও দু’টি চামড়া শিল্পনগরী নির্মাণ করা হবে।

এ খাতে এগিয়ে আসতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
 
মঙ্গলবার (০৭ নভেম্বর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ‘চামড়া শিল্পনগরী, ঢাকা প্রকল্পের মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়ানো হয়।

সংশোধিত প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।

সাতদফা মেয়াদ ও ব্যয় বাড়ানোর পর সর্বশেষ ২০১৭ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার কথা ছিলো। ফের দুই বছর বাড়িয়ে মেয়াদ করা হয়েছে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত।

আরও চামড়া শিল্পনগরীর প্রতি গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে ১০০টি ইকোনমিক জোন হচ্ছে। এর মধ্যেই আরও চামড়া শিল্পনগরী নির্মাণ করা যায়। প্রয়োজনে আমরা জমির ব্যবস্থা করবো। আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের চামড়াজাত পণ্যের চাহিদা বেড়েই চলেছে, সামনে আরও বাড়বে’।
 
সাভার চামড়া শিল্পনগরীর ২০৫টি প্লটে ১৫৫টি শিল্প ইউনিট নির্মিত হচ্ছে। এখানে প্রচুর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। ওই ১৫৫টি শিল্প ইউনিটের শ্রমিকদের আবাসন সমস্যা নিরসনে আরও একটা প্রকল্প প্রণয়নে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশনকে (বিসিক) নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
 
সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আরও দু’টি চামড়া শিল্পনগরী নির্মাণ করা হবে। এ কাজে এগিয়ে আসতে বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
 
একনেক সভায় ৪ হাজার ৯৭৯ কোটি টাকা ব্যয়ে মোট ৮টি উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে মঙ্গলবার।

এর মধ্যে ‘দেশের আটটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ক্যাম্পাসে ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালয়েড সায়েন্সেস (ইনমাস) নির্মাণ’ প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৮২ কোটি টাকা। প্রকল্পের মাধ্যমে গরিব ও সাধারণ মানুষকে স্বল্পমূল্যে সর্বাধুনিক পরমাণু প্রযুক্তির ব্যবহার করে থাইরয়েড, কিডনি, লিভার ও বোন ক্যান্সার রোগের ডায়াগনসিস ও চিকিৎসা দেওয়া হবে।

এ চিকিৎসা পদ্ধতি অন্যান্য মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও চালুর নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
 
‘টাঙ্গাইল জেলার ভূয়াপুর উপজেলার অর্জুনা এলাকাকে যমুনা নদীর ভাঙন থেকে রক্ষার্থে নদীর তীর সংরক্ষণ’ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রতিটি বাঁধের ওপরে গাছ লাগাতে হবে। এতে করে বাঁধগুলো দীর্ঘদিন টেকসই হবে’।
 
সভায় ১ হাজার ২৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘ক্ষুদ্রাকার পানিসম্পদ উন্নয়ন’ প্রকল্পেরও অনুমোদন দেওয়া হয়। অনুমোদিত ‘ওয়েস্ট জোন এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ ও পরিবর্ধন’ প্রকল্পে ১ হাজার ২৪৯ কোটি টাকা, ‘সৈয়দপুর-নীলফামারী মহাসড়ক প্রশস্তকরণ’ প্রকল্পে ২২৬ কোটি টাকা, ‘নওগাঁ-আত্রাই-নাটোর মহাসড়ক প্রশস্তকরণ’ প্রকল্পে ২০১ কোটি টাকা এবং ‘জয়পুরহাট-আক্কেলপুর জেলা মহাসড়ক প্রশস্তকরণ’ প্রকল্পে ৭৫ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৭
এমআইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।