ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বিশ্বে বাড়ছে বাংলাদেশি চামড়াজাত পণ্যের চাহিদা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৭
বিশ্বে বাড়ছে বাংলাদেশি চামড়াজাত পণ্যের চাহিদা লেদারটেক শো তে অংশ নেয়া একটি স্টলের ডিসপ্লেতে রাখা বাংলাদেশে তৈরি জুতা; ছবি- শাকিল; বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: চামড়াজাত পণ্য ও জুতার আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশে তৈরি পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।ইউরোপ আমেরিকায় যাচ্ছে বাংলাদেশের জুতা।

এ পরিস্থিতিতে গুণগত মান বাড়িয়ে আন্তর্জাতিক বাজার আরও সম্প্রসারণের দিক খুঁজছেন দেশীয় চামড়াজাত পণ্য প্রস্তুতকারক ও উদ্যোক্তারা।

রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) চলছে দেশের চামড়াজাত পণ্যের সবচেয়ে বড় আয়োজন ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডশো অন লেদার অ্যান্ড ফুটওয়্যার মেশিনারি, কম্পোনেন্টস, কেমিক্যালস অ্যান্ড অ্যাক্সেসরিজ সংক্ষেপে  ‘লেদারটেকশো’র প্রদর্শনী।

বৃহস্পতিবার (নভেম্বর ১৬) প্রধানমন্ত্রী এই পঞ্চম লেদারটেকশো’র উদ্বোধন করেন। প্রদর্শনী চলবে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত।

চীন, ভারত, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ডসহ ১৫টি রাষ্ট্রের ১৭১টি প্রতিষ্ঠান ও শিল্পখাতের সংগঠক, বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা এ আয়োজনে অংশ নিচ্ছেন।

‘বাংলাদেশ যে একটা দেশ এবং এখানে এতো ভালো জুতো তৈরি হয়। সেটা জানানোর সবচেয়ে কাযকরী প্লাটফর্ম এই লেদারটেকশো। এটাই হলো আসল মার্কেটিং’- বাংলানিউজকে বলছিলেন অ্যাপেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান সৈয়দ মনজুর এলাহী।

লেদারটেক শো তে অ্যাপেক্স-এর স্টলে দাঁড়িয়ে কথা হচ্ছিলো তার সঙ্গে।

অ্যাপেক্সের সবচেয়ে বড় মার্কেট এখন ইউরোপ। সেই অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বলেন, ‘প্রোডাক্ট কোয়ালিটি এবং ডিজাইন এ দুটো দিকে ভালো করলেই বাংলাদেশের জন্য বিদেশের মার্কেট অবারিত। ’

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এ প্রদর্শনীর আয়োজক প্রতিষ্ঠান আস্ক ট্রেড এন্ড এক্সিবিউশন প্রাইভেট লিমিটেড-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর টিপু সুলতান ভুঁইয়া বলেন, ‘গার্মেন্টস শিল্পের মতো লেদার পণ্যে বিশ্বের নজর কাড়বে বাংলাদেশ। এখন যে নতুন প্রযুক্তি এখানে দেখানো হচ্ছে তা দিয়ে গুণগত জুতো ও লেদার পণ্য তৈরি হবে। ’আইসিসিবিতে অনুষ্ঠিত লেদারটেকশো প্রদর্শনীতে দর্শনার্থীরা ; ছবি- শাকিল টিপু সুলতান ভুঁইয়া আরও বলেন, মূল টার্গেট হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাজারে আমাদের পণ্য পরিচিত করা। এজন্য যে টেকনোলজি দরকার সেটা এখানে এসে গেছে। রপ্তানিমুখী জুতা শিল্পের বেশিরভাগ কারখানায় মেশিনারিজ প্রযু্ক্তি সরবরাহ করে ‘ফুট প্যাভিলিয়ন লিমিটেড’। এ প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মীর শরিফ মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘জু‍তা বা চামড়াজাত শিল্পের পুরো প্রজেক্টের মেশিন সরবরাহ করে দেন ‍তারা। একবারে লাস্টিং থেকে সুইং মেশিন পর্যন্ত। এ প্রদর্শনীতে জুতা তৈরির সব শেষ প্রযুক্তি নিয়ে এসেছেন তারা।

এ সময় তিনি দেখান, কত সহজে প্রযুক্তির সহযোগিতায় একটি জুতো তৈরি করা যায়। যেখানে বেশি শ্রমিকের প্রয়োজন নেই। শুধু প্রযুক্তি ব্যবহার করার মতো অল্প সংখ্যক শ্রমিক থাকলেই হবে। এ রকম টেকনোলজির সহযোগিতা তারা দিচ্ছেন বাংলাদেশে।

মীর শরিফ মাহমুদ মনে করেন, ‘নতুন টেকনোলজিতে জুতা সহজে লাস্টিং হচ্ছে। কম সময়ে বেশি উৎপাদন হচ্ছে।

তবে অ্যাপেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান সৈয়দ মনজুর এলাহী বলেন, ‘গুণগত পণ্য তৈরি হবে ঠিকই কিন্তু সেটা যথাসময়ে বিদেশে পাঠানোও বড় একটা ফ্যাক্টর। কারণ চট্টগ্রাম পোর্টে পৌঁছাতে যেখানে সাধারণত ১২ ঘণ্টা লাগার কথা সেখানে মাঝে মাঝে ৩ থেকে ৪ দিন লাগে। ।

তিনি বলেন, ‘যদি কেউ আজকে অর্ডার করে তাহলে সে চাইবে ১৫ থেকে ৩০ দিনের মাল পেয়ে যেতে। কিন্তু  চট্টগ্রাম পোর্টে কাঁচামাল খালাস করতেই একমাস লেগে যায়। তারপর মাল তুলতে আরও ১০ থেকে ১৫ দিন।

‘এভাবে ব্যবসা হয় না। পোর্টের দক্ষতা বাড়াতে হবে সরকারকে । আর গ্যাস ও বিদ্যুতের পর্যাপ্ত নিশ্চয়তা দিতে হবে। – বলেন মনজুর এলাহী।

**‘নিজস্ব ব্র্যান্ড নিয়ে এগিয়ে যেতে চাচ্ছি’

**চামড়া ছাড়ানোয় জড়িতদের প্রশিক্ষণের তাগিদ প্রধানমন্ত্রীর

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৭
এসএ/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।