বুধবার (৩ জানুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এক আদেশ জারির মাধ্যমে দুই বছরের চুক্তিতে তাকে নিয়োগ দেয়।
মো. নজিবুর রহমানের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন মোশাররফ হোসেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর নরসিংদীর সন্তান মোশাররফ ১৯৮১ সালের বিসিএস ব্যাচের কর্মকর্তা। তিনি ২০১০ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি সেতু বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব পদে নিয়োগ পান। একই বছরের ২৯ জুলাই পদোন্নতি পেয়ে সচিব হন তিনি।
এ দায়িত্ব পালনকালে পদ্মা সেতুর পরামর্শকের কাজ পাইয়ে দিতে কানাডীয় প্রতিষ্ঠান এসএনসি লাভালিনকে ঘুষ লেনদেনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ২০১২ সালের ১৭ ডিসেম্বর বনানী থানায় মোশাররফ হোসেনসহ সাত জনকে আসামি করে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলার পর মোশাররফ হোসেনকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করা হয়।
ওই বছরের ২৬ ডিসেম্বর হাইকোর্ট থেকে বের হওয়ার পর গণপূর্ত ভবনের সামনে থেকে মোশাররফকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে কয়েক দফায় রিমান্ড মঞ্জুর করে পরে কারাগারে পাঠানো হয়। ২০১৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি জামিন পান মোশাররফ হোসেন।
তদন্তের পর দুদক জানায়, আসামিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনো তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। দুদক চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার পর ২০১৪ সালের অক্টোবরে পদ্মাসেতু দুর্নীতি মামলার অবসান ঘটে। সচিব মোশাররফ হোসেনসহ সাত আসামির সবাইকে অব্যাহতি দেয় আদালত। পরবর্তীতে কানাডার আদালতে দায়ের করা মামলাতেও খালাস পান আসামিরা।
এরপর ২০১৪ সালের ২৬ অক্টোবর শিল্প সচিব পদে নিয়োগ পেয়ে মোশাররফ ২০১৬ সালের ১১ এপ্রিল জ্যেষ্ঠ সচিব হিসেবে পদোন্নতি পান।
ওই বছরের ৩০ জুন অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) যাওয়ার কথা ছিল মোশাররফের। তবে একদিন আগে ২৯ জুন পিআরএল বাতিল করে তাকে এক বছরের চুক্তিতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব পদে রেখে দেয় সরকার।
পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগে জেলখাটা মোশাররফ হোসেনকে এই নিয়োগের মাধ্যমে পুরস্কৃত করা হলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৮
এমআইএইচ/এসজে/এইচএ/