সোমবার (০৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে দুদক কার্যালয়ে আসেন ব্যাংকটির পরিচালক। এরপর সকাল সাড়ে ১০টা থেকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে কমিশন।
এর আগে রোববার (০৭ জানুয়ারি) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে তাদেরকে সোমবার সকাল ৯টায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়।
এদিকে বিদেশে অর্থপাচারের অভিযোগে গত ২৮ ডিসেম্বর ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান এম ওয়াহিদুল হক ও সাবেক এমডি এম ফজলার রহমানকে ৭ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন ও সহকারী পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
তবে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে এবি ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচারের বিষয়ে নিজেদের ভুল হয়েছে বলে স্বীকার করেন ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান এম ওয়াহিদুল হক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম ফজলার রহমান। দু’জনই স্বীকার করেন পাচার হওয়ার পর তারা বুঝতে পারেন টাকাগুলো পাচার হয়েছে। কিন্তু তখন আর তাদের কিছুই করার ছিলো না।
এরপর দুদকের অনুসন্ধান টিম এবি ব্যাংকের ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৬৫ কোটি টাকা) বিদেশে পাচার হয়েছে, যেখানে এবি ব্যাংকের কর্মকর্তারা জড়িত বলে প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে। যার কারণে ব্যাংকটির ১৬ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার জন্য ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছে দুদক চিঠি দিয়েছে। এছাড়া ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পাসপোর্টও জব্দ করেছে দুদক।
শুধু তাই নয়, ব্যাংক থেকে অর্থ পাচারের ঘটনায় দুদক জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান এম ওয়াহিদুল, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম ফজলার রহমান, সাবেক এমডি শামিম আহমেদ চৌধুরী, হেড অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউট অ্যান্ড ট্রেজারি আবু হেনা মোস্তফা কামাল, হেড অব কর্পোরেট মাহফুজ উল ইসলাম, হেড অব অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট (ওবিইউ) মোহাম্মদ লোকমান, ওবিইউ এর কর্মকর্তা মো. আরিফ নেয়াজ, ব্যাংক কোম্পানি সেক্রেটারি মাহদেব সরকার সুমন এবং প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তা এম এন আজিম।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮,২০১৭
এসজে/জেডএস