গত সপ্তাহে ওয়ালটনের ফ্রিজের খুচরা যন্ত্রাংশবোঝাই জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ইন্দোনেশিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে।
যন্ত্রাংশের মধ্যে রয়েছে ফ্রিজের প্রাণ হিসেবে খ্যাত কম্প্রেসার, রেফ্রিজারেটর ডোর বা দরজা, রেফ্রিজারেটর ডোর হিন্জ, ড্রয়ার, ডোর প্লাস্টিক সেল্ফ, রেফ্রিজারেটর ক্যাবিনেট বডি, পাওয়ার ক্যাবল ও প্ল্যাগ, পলি ব্যাগ, পলি ফোমসহ কার্টুন প্যাকেজ বক্স।
এ বিষয়ে ওয়ালটনের আন্তর্জাতিক বিপণন বিভাগের প্রধান রকিবুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশ থেকে বিশ্ব মানসম্পন্ন ফ্রিজ ইতোমধ্যে এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে। এবার ওয়ালটন তথা বাংলাদেশের মিশন হলো- বিশ্ববাজারে ফ্রিজের আনুষঙ্গিক কাঁচামাল ও যন্ত্রাংশ রপ্তানি। ইন্দোনেশিয়ায় রপ্তানির মধ্য দিয়ে এই মিশন শুরু হলো।
গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজে রয়েছে আন্তর্জাতিকমানের ফ্রিজ উৎপাদন কারখানা। যেখানে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও মেশিনারিজের সমন্বয়ে উচ্চ গুণগতমানের রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার তৈরি হচ্ছে। সেখানে নিয়মিত গবেষণার মাধ্যমে তৈরি হচ্ছে ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তির ফ্রস্ট ও নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর, টেম্পারড গ্লাস ডোরের রেফ্রিজারেটর, আইওটি বেজড মুঠোফোনে নিয়ন্ত্রণযোগ্য স্মার্ট রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার।
ওয়ালটনের সিনিয়র অপারেটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম বলেন, বিশ্বের অনেক গ্লোবাল ব্র্যান্ডই নিজস্ব কারখানায় ফ্রিজের আনুষঙ্গিক সব যন্ত্রাংশ তৈরি করে না। তারা বিভিন্ন দেশ থেকে এসব যন্ত্রাংশ আউটসোর্সিং করে থাকে। কিন্তু ওয়ালটন কারখানায় পূর্ণাঙ্গ ফ্রিজের পাশাপাশি তৈরি হচ্ছে আনুষঙ্গিক পার্টসও। এতে একদিকে যেমন নিজস্ব তত্ত্বাবধানে আন্তর্জাতিকমান বজায় রেখে ফ্রিজ উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে, তেমনি বিভিন্ন দেশের ফ্রিজ উৎপাদন কারখানায় এসব যন্ত্রাংশ রপ্তানিও করা যাচ্ছে। ফলে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন খাতের ইমেজও বাড়ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৮
এইচএ/