চুক্তি অনুযায়ী, বিজেএমসি কোল্ড স্টোরেজগুলোকে (হিমাগার) ১০ কোটি ৬০ লাখ পাটের বস্তা সরবরাহ করবে।
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিজেএমসি’র পক্ষে মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব সালেহ উদ্দিন এবং বিসিএস’র পক্ষে প্রতিষ্ঠানের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. কামরুল হোসেন চৌধুরী চুক্তিতে সই করেন।
চুক্তি অনুযায়ী, ৬০০ গ্রাম ওজনের প্রতিটি পাটের বস্তার মূল্য ধরা হয়েছে ৪২ টাকা এবং চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বিজেএমসি বস্তাগুলো বিসিএসএকে সরবরাহ করবে।
অনুষ্ঠানে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী জানান, বর্তমানে ২৮৫ ধরনের পণ্য দেশে ও বিদেশে বাজারজাত করা হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ বাজার ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন করে ইউরোপের দেশগুলোতে পাটজাত পণ্যে রপ্তানি বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিজেএমসি’র চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান বলেন, দেশের অভ্যন্তরে তারাই সবচেয়ে বড় একক ক্রেতা। বিজেএমসি এখন একটি সংকটকাল পার করছে। এই চুক্তি সংকট উত্তরণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
বিসিএসএ’র সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক বলেন, বাংলাদেশে ৪১৬টি কোল্ড স্টোরেজ রয়েছে, যার ক্যাপাসিটি ৫৫ লাখ মেট্রিক টন। কোল্ড স্টোরেজ থাকায় দেশে প্রতি বছর আলু উৎপাদন বাড়ছে। খাওয়ার আলু, বীজ আলু, শিল্পে ব্যবহার করা আলু ও রফতানিযোগ্য আলু সংরক্ষণে আমরা এই বস্তা ব্যবহার করবো।
সচিব বলেন, বিজেএমসি এখন যে অবস্থায় আছে অতীতে সেই অবস্থায় ছিল না। বিজেএমসি বর্তমানে একটি লোকসানী প্রতিষ্ঠান হিসেবে চিহ্নিত। বিজেএমসির কার্যক্রম জোরদার ও লোকসান কাটিয়ে ওঠার জন্য আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। আজকের চুক্তিটি সেই পদক্ষেপেরই একটি অংশ।
জার্মানির বাজারে বাংলাদেশ পাটজাত পানীয় বাজারজাত করতে সমর্থ হয়েছে জানিয়ে সচিব বলেন, আমরা চেষ্টা করছি, এশিয়াসহ এই পানীয়টা বহৎ পরিসরে ইউরোপ আমেরিকার সব বাজারে বাজারজাত করার।
বিজেএমসি যাতে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলেও জানান সচিব।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৮
এমআইএইচ/এসআই