এতে সর্বাধিক বিনিয়োগকারী ১০টি দেশের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী, বাংলাদেশের অবস্থান নবম।
দেশের বিভিন্ন কোম্পানির মূলধন হিসেবে প্রায় এক হাজার ২০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে বিশ্বজুড়ে ‘সফট উইন্ডো লোন’ হিসেবে পরিচিত বিশ্বব্যাংকের এই অঙ্গসংস্থাটি।
বিনিয়োগ করা কোম্পানির তালিকায় রয়েছে- বেসরকারি খাতের দ্য সিটি ব্যাংক লিমিটেড, আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইডিএলসি ফিন্যান্স, শিল্প গ্রুপ প্রাণ, মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ, অনন্ত গ্রুপ, এসকোয়ারিজ গ্রুপ, ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড, গ্রীন ডেল্টা ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, পূবালী ব্যাংক লিমিটেড গ্রামীণফোন, রবি আজিয়াটা ও ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের নাম।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বৃহৎ বিনিয়োগ নিয়ে আইএফসি প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বাংলাদেশ নয় নম্বরে থাকলেও প্রথমেই রয়েছে প্রতিবেশী ভারত।
ভারতে আইএফসির বিনিয়োগের পরিমাণ ৫ হাজার ৬০২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তালিকার ১০ নম্বরে রয়েছে কলম্বিয়া। দেশটিতে এক হাজার ১১১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে আইএফসি।
তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা তুরস্কে আইএফসি বিনিয়োগ করেছে ৪ হাহার ৪০৫ মিলিয়ন ডলার। তিন নম্বরে রয়েছে চীন। বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল এই দেশে ৩ হাজার ২১১ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে সংস্থাটি।
এরপর ধারাবাহিকভাবে রয়েছে ব্রাজিল (২ হাজার ৬৮৯ মিলিয়ন ডলার), নাইজেরিয়া (১ হাজার ৫৫৮ মিলিয়ন ডলার), পাকিস্তানে (১ হাজার ২৯৪ মিলিয়ন ডলার), মেক্সিকো (১ হাজার ২৯৩ মিলিয়ন ডলার) এবং ইন্দোনেশিয়া (১ হাজার ২৮০ মিলিয়ন ডলার)।
দেশের প্রথম তরল প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানির টার্মিনাল প্রকল্প ছাড়াও বিদ্যুৎ খাতের এক্সিলারেট এনার্জি, সামিট পাওয়ার, ওমেরা এলপিজি ও সেমক্রপ ও ইউনাইটেড গ্রুপেও আইএফসির বিনিয়োগ রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আইএফসি বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের উন্নয়নে নানা ধরনের পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি উন্নয়নের সমস্যা সমাধানেও কাজ করছে। সংস্থাটি ঋণ দেওয়ার পাশাপাশি মূলধন সরবরাহ, যৌথ বিনিয়োগ, যন্ত্রপাতি কাঠামোতে অর্থায়ন ও নিশ্চিয়তাদানকারী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে।
আইএফসির দক্ষ কর্মী বাহিনীর মাধ্যমে নানা ধরনের পরামর্শ, নতুন নতুন বাজারের খুঁজে বের করা, সামাজিক, বাণিজ্যিক ও সরকারি কর্ম পরিবেশ উন্নয়নেও কাজ করছে আইএফসি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এসব বিনিয়োগের বাইরেও নতুন করে ২০১৭ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ২৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা নিয়েছে আইএফসি। এর মধ্যে ৪৫ শতাংশ আর্থিক খাতে, ২৮ শতাংশ অবকাঠামো উন্নয়নে, ১৭ শতাংশ কৃষি ব্যবসা ও উৎপাদনে ও ১০ শতাংশ টেলি কমিউনিকেশন খাতে বিনিয়োগ করা হবে। চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ৪২ কোটি ৬ লাখ ডলার বিনিয়োগও করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বিশ্বব্যাংক আমাদের দেশের উন্নয়নে অনেক বিনিয়োগ করেছে। ভবিষ্যতেও করবে। এটা খুবই ভালো খবর। উন্নয়নশীল দেশে বেসরকারি বিনিয়োগে সরকারও অনেক পদেক্ষেপ নিয়েছে, যাতে দেশে বিনিয়োগ বাড়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৮
এসই/এমএ