ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বেনাপোল বন্দরে কর্মবিরতিতে পণ্য খালাস বন্ধ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৮
বেনাপোল বন্দরে কর্মবিরতিতে পণ্য খালাস বন্ধ পণ্য খালাস বন্ধ। ছবি : বাংলানিউজ

বেনাপোল (যশোর): বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি পণ্য খালাস কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে ইকুইপমেন্ট সেক্টরের শ্রমিকরা। ফলে ব্যবসায়ীরা শিল্প-কারখানায় ব্যবহৃত মেশিনারি পণ্য খালাস নিতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন। তবে বন্দরে হ্যান্ডলিংক শ্রমিকরা ছোটখাটো পণ্য চালান খালাসে কাজ করছেন।

সোমবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় শ্রমিকরা কর্মবিরতির ডাক দিয়ে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্দরে পণ্য খালাস বন্ধ করে দেন।  

এর আগে গত সপ্তাহে বাংলাদেশ স্থলবন্দরকে বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবি নিয়ে আল্টিমেটাম দিয়েছিল শ্রমিকরা।

আমদানি পণ্য পরিবহনকারী পদ্মা ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির মালিক আতাউর রহমান বাংলানিউজকে জানান, বন্দর থেকে তাদের কয়েকটি গাড়ির মেশিনারি পণ্য জরুরি খালাস করা দরকার। কিন্তু শ্রমিকরা ক্রেন ও ফরক্লিপে পণ্য ওঠা-নামানোর কাজ বন্ধ করে দেওয়ায় চরম বিপাকের মধ্যে পড়তে হয়েছে।  
এদিকে, বন্দর ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমঝোতার কোনো লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না।

বেনাপোল স্থলবন্দরের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সিস লজিস্টিক্যাল সিস্টেম লিমিটেডের প্রতিনিধি সোহাগ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, গত ৫ মাসে প্রায় দুই কোটি টাকা বন্দরের কাছে বকেয়া পাওনা রয়েছে। এতোদিন নিজেদের পকেট থেকে শ্রমিকদের পাওনা টাকা মেটালেও এখন পাওনা টাকা না পেলে আর তাদের পক্ষে শ্রমিকদের মজুরি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এজন্য শ্রমিকরা কাজ বন্ধ রেখেছেন। বিষয়টি বন্দর কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানানো হলেও এখন পর্যন্ত কোনো সমাধান হয়নি।

বেনাপোল বন্দর পরিচালক (ট্রাফিক) প্রদোষ কান্তি দাস বাংলানিউজকে বলেন, তিনি বন্দরে যোগদানের আগে থেকেই টেন্ডার সংক্রান্ত ঝামেলা রয়েছে। টেন্ডারে দর-দাম নিয়ে হাইকোর্টে যে মামলা রয়েছে, তা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ধৈর্য ধরতে হবে।

জানা যায়, বর্তমানে ভারতের সঙ্গে বেনাপোল বন্দরে সপ্তাহে ছয় দিন ২৪ ঘণ্টা বাণিজ্যিক কার্যক্রম চলে। এ বন্দর দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৫০০ ট্রাক পণ্য ভারত থেকে আমদানি করা হয়। আর বেনাপোল বন্দর থেকে দেশের অভ্যন্তরে খালাস হচ্ছে প্রায় ৭০০ ট্রাক পণ্য। এসব পণ্যের মধ্যে অর্ধেক রয়েছে ভারি যন্ত্রাংশ। যা লোড ও আনলোড করতে ইকুইপমেন্ট সেক্টরের শ্রমিকদের প্রয়োজন হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৮
এজেডএইচ/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।