ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

নিরাপদ পানি নিয়ে অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী যা বললেন

বিজনেস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০১৯
নিরাপদ পানি নিয়ে অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী যা বললেন

ঢাকা: ছোটবেলায় সবাই পড়েছি বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। সেই হিসেবে পানির অভাব আমাদের এ দেশে নেই। তবে পানযোগ্য পানির হিসেব করতে গেলে সমীকরণে বেশকিছুর বদল এসে যায়। বর্তমানে দেশের ৮৬ শতাংশ বাসাবাড়ির মানুষ টিউবওয়েল কিংবা সাপ্লাই পানি পান করেন। তবে পিপাসা মেটাতে আমরা যা পান করছি তার সবই কিন্তু নিরাপদ পানি নয়।

এ যুক্তিতে পৃথিবীতে অন্য দেশের মতোই বিশুদ্ধ পানির সংকটে বাংলাদেশও ভুগছে। বেশকিছু দিন আগে জাতীয় টেলিভিশনে নিরাপদ পানির ওপর প্রচারিত হওয়া একটি প্রতিবেদন থেকে জনতে পেরেছিলাম দেশের প্রায় সাড়ে সাত কোটি মানুষ অপরিচ্ছন্ন এবং অনিরাপদ উৎসের পানি পান করছে।

পানির নিরাপদ উৎসগুলোর ৪১ শতাংশই ক্ষতিকারক ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়াযুক্ত। পাইপের মাধ্যমে বাসাবাড়িতে সরবরাহ করা পানিতে এ ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি, প্রায় ৮২ শতাংশ। ফলে বাড়ছে পানিবাহিত রোগের সংক্রামণ।

আমি নিজেও বেশ অবাক হয়েছি, যখন জানলাম আমাদের পাকস্থলী ও অন্ত্রের প্রদাহের জন্য দায়ী এ ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়া। এছাড়া জন্ডিস, ডায়রিয়া, কলেরার মতো রোগ দেখা দিচ্ছে মহামারি আকারে নিরাপদ ও বিশুদ্ধ পানি পান না করার কারণে। আর দুঃখজনক হলেও পানিবাহিত রোগের বড় শিকার শিশুরা। দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, পাঁচবছর বা এর কম বয়সী শিশু মৃত্যুর শতকরা ৬ শতাংশই ঘটে থাকে পানিবাহিত রোগের জন্য।  

কেনো পিওরইট?
আপনারা অনেকেই হয়তো এখনো ফুটিয়ে কিংবা পুরোনো উপায়ে পানি পরিশোধন করে থাকেন। আমিও একই কাজ করতাম। কিন্তু পানিদূষণ যেভাবে বেড়েছে, ফুটিয়ে কিংবা পুরোনো পদ্ধতিতে পানি পরিশোধন প্রক্রিয়া কোনোভাবেই শতভাগ নিশ্চিত সুরক্ষা দিতে পারে না।

তাছাড়া ফুটানো ও পুরানো উপায়ে পানিশোধন প্রক্রিয়া অনেক সময় সাপেক্ষ, ব্যয় বহুল এবং এগুলোর কার্যকারিতা তুলনামূলকভাবে কম।

তাছাড়া দিন দিন পানিতে আরও যোগ হচ্ছে ই-কোলাই, মরিচা, সীসা, আয়রন, আর্সেনিক, ভারী ধাতুর মতো নতুন নতুন সব বিষাক্ত উপাদান। আর এজন্য অ্যাডভান্সড টেকনোলজির বিকল্প নেই। যা শুধু মাত্র নিশ্চিত করে নিরাপদ খাবার পানির সহজ সমাধান পিওরইট পিউরিফায়ার।  

এর পরিশোধন পদ্ধতি ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য বিষাক্ত উপাদান দূর করে পানিকে করে ফোটানো পানির থেকেও নিরাপদ।  

একেবারেই ঝামেলাহীন, নিরাপদ ও সাশ্রয়ী হওয়ায় বর্তমানে আমি নিজেও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির পিওরইটের ব্যবহার শুরু করছি। নিজের পরিবারের পানির সুরক্ষায় কোনো আপস নেই।

পিওরইট নিয়ে অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর ব্যক্তিগত অভিমত
‘নিরাপদ পানি আমাদের সবার অধিকার। আমি মনে করি, যেকোনো কিছুর আগে নিরাপদ পানি নিশ্চিত করাটা বেশ জরুরি। কারণ, পানিই জীবন। অনিরাপদ বা দূষিত পানি প্রভাবে মৃত্যুর খবর প্রায়ই খবরের কাগজে আসে। আর পানের পানির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই অনেক বছর ধরে বাংলাদেশের বাজারে কাজ করে আসছে ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের পিউরিফায়ার ব্র্যান্ড পির্ওইট।

দেশের বাজারে শুধু কেনা-বেচাতেই তারা সীমাবদ্ধ নয়, নিরাপদ পানির ব্যাপারে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে ‘এসডিজি-৬’ নিয়ে কাজও করছে তারা। সব মিলিয়ে পিওরইটের সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমি সত্যিই গর্বিত। ’

আপনি ও খুব সহজে পিওরইট অর্ডার করতে পারেন। এর জন্য আপনি ভিজিট করুন (https://www.pureitwater.com/BD/ অথবা https://www.pickaboo.com/pureit)। এছাড়া কল করুন ১৬৬২৭ নম্বর এ হোম ডেলিভারি পেতে।

চঞ্চল চৌধুরী
'আমি ও আমার পরিবার পানি ফুটিয়ে পান করতাম, হঠাৎ একদিন পত্রিকায় নতুন যুগের দূষণ যেমন, ই-কোলাই, সীসা ইত্যাদির ব্যাপারে জানলাম। আরও জানলাম এগুলো শুধু পিউরিফায়ার দিয়েই দূর করা সম্ভব। এরপর থেকেই আমার আস্থা পিওরইট-এ। একমাত্র ওয়াটার পিউরিফায়ার ব্র্যান্ড যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রতিষ্ঠান-ডিআরআইসিএম, বিসিএসআইআর কর্তৃক যাচাইকৃত। '

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৯
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।