ঢাকা, বুধবার, ৯ আশ্বিন ১৪৩২, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১ রবিউস সানি ১৪৪৭

অর্থনীতি-ব্যবসা

তুলা আমদানিতে ফিউমিগেসন চার্জ কমানোর আশ্বাস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:৫৩, সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৯
তুলা আমদানিতে ফিউমিগেসন চার্জ কমানোর আশ্বাস বিটিএম প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী

ঢাকা: তুলা আমদানিতে ফিউমিগেসন চার্জ কমানোর আশ্বাস দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, তুলা আমদানিতে সম্প্রতি ফিউমিগেসন চার্জ ক্ষেত্র বিশেষে ১০ গুণ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। দেশের স্বার্থে অর্থ মন্ত্রণালয়সহ অন্যদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে এসব ফি কমানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রীর অফিসকক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারিখাত ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএম) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, তুলা আমদানির অনুমোদন আমরা দেই।

তবে তুলা আমদনির পর এর সঙ্গে কোনো রোগ-জীবাণু আছে কিনা সেটার জন্য পোর্টে ফিউমিগেসন করতে হয়। এজন্য একটা ফি দেওয়া লাগে।  আমদানিকারকদের সেই চার্জ দিতে হয়। এর আগে এসবক্ষেত্রে যে পরিমাণ চার্জ ছিল সেটা সম্প্রতি ক্ষেত্র বিশেষে ১০ গুণ বাড়ানো হয়েছে। টাকার অংকে বেশি নয় হয়তো ৫ টাকা থেকে ৫০ টাকা করা হয়েছে। তবে বিশ্বব্যাংকসহ যেসব সংস্থা ইজ অব ডুয়িং বিজনেসের সূচক নির্ধারণ করে তারা এটাকে খুব নেগেটিভভাবে দেখছে।

তিনি বলেন, ফিউমিগেসনে ফি প্রতি বেলে ১০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ টাকা করা হয়েছে। আমেরিকা থেকে তুলা আমদানি করার সময় সেখানেই একবার ফিউমিগেসন করা হয়। আবার দেশে এনে ফিউমিগেসন করলে খরচ বাড়ে। ফলে আমেরিকা সরকারও এটাকে ভালোভাবে নিচ্ছে না।  

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাংলাদেশের সোনালি আঁশ পাট রপ্তানি করে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতাম। এখন সেটা দিন দিন কমে যাচ্ছে। বর্তমানে রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮০ শতাংশ অর্জন হয় তৈরি পোশাক থেকে।  

কৃষিমন্ত্রী বলেন, পোশাকশিল্পের মূল কাঁচামাল হচ্ছে কাপড়। এ কাপড় আগে আমরা আমদানি করতাম। কিন্তু বর্তমানে টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি বাড়ায় কাপড় পুরোটাই দেশে উৎপাদন হচ্ছে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে আমরা আমাদের দেশে কাপড় তৈরির জন্য কাঁচামাল তুলা চাষ করি না। তাই তুলা আমদানি করতে হয়। তুলা আমদানি করার সময় তুলার সঙ্গে পোকামাকড় বা রোগ-জীবাণু আসছে কিনা সেটা দেখতে হয় কৃষি মন্ত্রণালয়কে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৯ 
জিসিজি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।