ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

পাটকল আধুনিকায়নে সরকার বদ্ধপরিকর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫১ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২০
পাটকল আধুনিকায়নে সরকার বদ্ধপরিকর

ঢাকা: সরকার বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) বন্ধ ঘোষিত মিলগুলো জরুরিভিত্তিতে পুনরায় চালু করতে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম।

তিনি বলেন, বহুমুখী পাটপণ্যের বর্তমান বাজার ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার পরিপ্রেক্ষিতে পাট পণ্যের উৎপাদন ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও পুনর্বিন্যাস করে পাটকলগুলো চালু করা হবে।

অবসায়নের পরে দেশের পাটকলগুলো তথা মিলগুলোকে সরকারি নিয়ন্ত্রণে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি), যৌথ উদ্যোগ জিটুজি বা লিজ মডেলে পরিচালনার মাধ্যমে যত দ্রুত সম্ভব ফের উৎপাদনে ফিরিয়ে আনা হবে।

মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারের (জেডিপিসি) সম্মেলন কক্ষে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোতে বিরাজমান পরিস্থিতির স্থায়ী সমাধান এবং পাটখাতকে পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। এসময় বিজেএমসির সচিব এএফএম. এহতেশামূল হক উপস্থিত ছিলেন।

সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, সরকারের এ সিদ্ধান্তকে শ্রমিকদের অধিকাংশ এবং সুধীসমাজের পক্ষ থেকে সাধুবাদ জানানো হয়েছে। তা সত্ত্বেও কিছু কিছু স্বার্থান্বেষী মহল অসত্য তথ্যপ্রচার ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত ব্যাখ্যার মাধ্যমে জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টির প্রয়াসে লিপ্ত রয়েছে। শ্রমিক আন্দোলন থামানো কিংবা আন্দোলনের অংশ হিসেবে শ্রমিকদের গেট মিটিং পরিচালনা অর্থায়নের জন্য বিজেএমসির কোনো বরাদ্দ নেই এবং এ খাতে কোনো অর্থ ব্যয় করা হয়নি। অনুরূপভাবে সিবিএ কার্যক্রম পরিচালনার জন্যও বিজেএমসি এ পর্যন্ত কোনো অর্থ ব্যয় করেনি।

তিনি আরও বলেন, শ্রমিকদের চাকরি অবসান এবং পাটকলগুলো বন্ধ ঘোষণার ক্ষেত্রে শ্রম আইনের সংশ্লিষ্ট সব বিধান অনুসরণ করা হয়েছে। শ্রমিকদের পাওনার পরিমাণ নির্ধারণ এবং তা পরিশোধের ক্ষেত্রেও যথাযথ আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। শ্রমিকদের চাকরি ১ জুলাই থেকে অবসান করায় শ্রমআইনের বিধান অনুযায়ী ৬০ দিনের অর্থাৎ নোটিশ মেয়াদের মজরি ব্যতিত ওই তারিখের পর তাদের আর কোনো দাবি বা পাওনা নেই। এরই মধ্যে অর্থ বিভাগ থেকে প্রাপ্ত অর্থ দ্বারা নোটিশ মেয়াদের অর্ধেক অর্থাৎ ৩০ দিনের মজুরি পরিশোধ করা হয়েছে।

একইসঙ্গে মিলগুলোকে উপযুক্ত ব্যবস্থায় আধুনিকায়ন ও পুনরায় চালু এবং বিজেএমসির জনবল কাঠামো পরিবর্তিত পরিস্থিতির আলোকে যৌক্তিকীকরণের বিষয়ে সুপারিশ দেওয়ার জন্য গঠিত উচ্চ পর্যায়ের দু’টি কমিটি এরই মধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২০ 
জিসিজি/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।