ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

হাতিলের জাদুকরি ভার্চ্যুয়াল শোরুম

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০২০
হাতিলের জাদুকরি ভার্চ্যুয়াল শোরুম

গল্প শুনবেন? রূপকথার গল্প? মন দিয়ে শুনলে, গল্প শেষে একটা জাদু দেখাবো।

একদেশে ছিল এক দুরন্ত বালক।

একদিন খেলতে খেলতে সে চলে যায় জঙ্গলে। যেখানে খেলাচ্ছলে অনিচ্ছাকৃত তার ধাক্কায়, বহু বছরের সাধনারত এক সাধুর ধ্যান ভেঙে যায়। রাগে সাধু তাকে ‘কোনোদিন ঘর থেকে বের হতে না পারার’ অভিশাপ দেন। অনেক কান্নাকাটি করে যা হয়েছে ভুলবশত হয়েছে বুঝিয়ে ক্ষমা চাইলে, শেষে সাধু বলেন, অভিশাপ তো তোলা যায় না। তবে আমি সাথে তোকে একটা বর দান করছি। তুই ঘর থেকে বের হতে না পারলেও ঘরে বসেই যা চাস করতে পারবি, যেখানে চাস যেতে পারবি। এরপর থেকে সে বালক ঘরে থেকেই তার যেখানে খুশি যেতে পারতো এবং যাবতীয় কাজ করতে পারতো।

এরকম যদি আসলেই ঘরে বসে সব করা যেতো কতইনা ভালো হতো, তাই না?

বলেছিলাম গল্পের শেষে একটা জাদু দেখাবো। জাদুটা হলো, এখন চাইলে বাস্তবে আপনিও ঘরে বসেই যেতে পারবেন হাতিলের শোরুমে। ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরিয়ে দেখতে পারবেন সব ফার্নিচার।
কি বিশ্বাস হচ্ছে না?
বিশ্বাস না হবারই কথা। কারণ, এর আগে বাংলাদেশে এমন কেউ দেখেননি। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো হাতিল চালু করেছে ভার্চ্যুয়াল শোরুম।

খুব বেশিদিন আগের কথা নয়। ১৯৮৯ সালে একটা কোম্পানি যাত্রা শুরু করে, আসবাবপত্রে মানুষকে এক ভিন্নধর্মী, সুদূরপ্রসারী এবং সেবামূলক অভিজ্ঞতা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে। আর এমন ভবনাতেই তারা ছাড়িয়ে যায় বাজারের অন্যান্য প্রতিযোগীদের এবং ছড়িয়ে যায় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। ভাষা আলাদা হলেও বিশ্বজুড়ে তাদের গুণগতমান আজও অভিন্ন ও আপসহীন। ফার্নিচার জগতে হাতিল চলে গেছে অনন্য উচ্চতায়।

করোনা মহামারির কারণে যখন ঘরের বাইরে যাওয়া বন্ধ, তখন তারাই মূলত ঘরে বসে কাজ করে ফেলার সেই রূপকথাকে বাস্তব করেছে জাদুর মত করে। বরদান হিসেবে দিয়েছে ‘৩৬০ ডিগ্রি ভার্চুয়াল শোরুম’। যেখানে শুধু ঘরে বসে ঘোরাই যায় না, সাথে পছন্দের আসবাব কেনাও যায় এবং তা ঘরে ঠিকঠাক বসবে কি না, তা ইঞ্চি ধরে পরিমাপও করা যায়।

হাতিলের চারতলা এই ভার্চ্যুয়াল শোরুমে দেখা যাবে সব ফার্নিচার। সাথে অর্ডারও করা যাবে। চাইলে ঘরের সাথে মিলিয়ে কাস্টমাইজও করা সম্ভব। পাওয়া যাচ্ছে লিভিং রুম ফার্নিচার, অফিস ফার্নিচারসহ সব ধরনের ফার্নিচার।

দেশের বাইরে এখন হাতিলের ২২টি শোরুম রয়েছে। নতুন বছর আরও কয়েকটি শোরুম চালু হবে। রবার্ট পল ইন কর্পোরেশনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি হচ্ছে হাতিলের ফার্নিচার।  

হাতিল শুধু বাংলাদেশের মানুষের কাছেই প্রিয় নয়, আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, সৌদি আরব, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, থাইল্যান্ড, মিশর, রাশিয়া, নেপাল, ভুটান এবং ভারতের মতো দেশে হাতিল জায়গা করে নিয়েছে। ২০১৩ সালে হাতিল গ্রিন অপারেশন ক্যাটাগরিতে এইচএসবিসি-ডেইলি স্টার ক্লাইমেট অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে। এ বছর তারা সর্বোচ্চ ভ্যাট দাতা প্রতিষ্ঠানের সম্মান ও পুরষ্কার পায়।

শোরুম ঘুরে দেখতে ক্লিক করুন

বাংলাদেশ সময়: ২১৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০২০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।