ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

রিহ্যাব ফেয়ার: বসুন্ধরার স্টলে ক্রেতাদের ভিড়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০২১
রিহ্যাব ফেয়ার: বসুন্ধরার স্টলে ক্রেতাদের ভিড় রিহ্যাব ফেয়ারে বসুন্ধরা হাউজিংয়ের স্টলে ক্রেতাদের ভিড় | ছবি: রাজীন চৌধুরী

ঢাকা: জমে উঠেছে দেশের আবাসন খাতের সবচেয়ে বড় বাৎসরিক মেলা—রিহ্যাব ফেয়ার-২০২১। মেলায় বিভিন্ন আবাসন প্রতিষ্ঠান প্লট ও ফ্লাটের ওপর বিশেষ ছাড় দিয়ে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেছে।

বসুন্ধরা হাউজিংয়ের স্টলে দেখা গেছে ক্রেতাদের ভিড়।

রোববার (২৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত রিহ্যাব ফেয়ার ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র।

চতুর্থ দিনে রিহ্যাব ফেয়ারে উপচেপড়া ভিড় ছিল দর্শনার্থীদের। সকাল থেকেই ক্রেতা-দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে মেলা প্রাঙ্গণ। মেলায় সামর্থ্যের মধ্যে পছন্দের ফ্ল্যাট খুঁজছেন ক্রেতারা।

রিহ্যাব ফেয়ারের কো-স্পন্সর (সিএস) ব্লকের ১৭ নম্বরে রয়েছে বসুন্ধরা হাউজিংয়ের স্টল। সকাল থেকেই ক্রেতাদের ভিড় ছিল স্টলটিতে। বেলা বাড়ার সঙ্গে ভিড়ও বাড়তে থাকে।

জমির দাম কয়েকগুণ বৃদ্ধি ও নির্ভরতার দিক থেকে বসুন্ধরা হাউজিংয়ের ভালো সুনাম রয়েছে। তাই প্লট সম্পর্কে জানতে এসেছি বলে জানালেন মিরপুর ১২ নম্বর থেকে আসা রহমত উল্লাহ।

বাংলানিউজকে তিনি বলেন, আমাদের আত্মীয় স্বজনের অনেকেই বসুন্ধরায় প্লট নিয়েছেন। তারা যেই দাম নিয়েছিলেন এখন সেটার দাম কয়েকগুণ বেড়েছে। শুধু তাই নয়, এখান থেকে প্লট কিনে কেউ প্রতারিত হয়নি। তাই প্লট কিনলে এখান থেকেই কিনবো।

ইস্ট ওয়েস্ট প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেডের (মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস) সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মো. জহিরুজ্জামান বলেন, আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকে যথাসময়ে ক্রেতাকে তার প্লটটি বুঝিয়ে দেওয়ার। বসুন্ধরার এমন কোনো রেকর্ড নেই, যেখানে বুকিং দিয়ে কেউ প্লট পাননি। সুতরাং নির্ভরতার একটি নাম বসুন্ধরা হাউজিং।

তিনি আরও বলেন, এবারের মেলায় আমরা অল্পকিছু সংখ্যক রেডি প্লট নিয়ে এসেছি। যে প্লটগুলো এখনই যেকোনো ক্লায়েন্ট কিনতে পারবেন। আমরা রেজিস্ট্রি করে ৭ দিনের মধ্যে প্লট বুঝিয়ে দেব। ক্রেতা চাইলে সঙ্গে সঙ্গেই কাজ শুরু করতে পারবেন।

রিহ্যাবের প্রথম সহ-সভাপতি কামাল মাহমুদ বলেন, গত দুই বছর আমরা মেলা আয়োজন করতে পারিনি। এ বছর প্রচুর ক্রেতা আসছেন। গত তিনদিনে ১২ হাজার প্রবেশ টিকিট বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ১০ হাজারই ক্রেতা। মেলায় ৮০ শতাংশ ক্রেতাই মাঝারি (১২০০-১৫০০) ফ্ল্যাট নিচ্ছেন। ৫০ লাখ টাকা থেকে ১ কোটি টাকার মধ্যে এই ফ্ল্যাট কিনতে পারছেন, যেটা মেলা ছাড়া সম্ভব না। এছাড়া একজন ক্রেতার মেলায় এসে ১০টা দেখে একটা নেওয়ার সুযোগ থাকে।

তিনি আরও বলেন, প্রতি বছরই মেলা থেকে আমরা ভালো সাড়া পাই, এবারো পাচ্ছি। করোনার মধ্যে এই সেক্টরে যে সংকট সৃষ্টি হয়েছিল, এই মেলা থেকে আশা করছি আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারব।

কামাল মাহমুদ বলেন, এবারের মেলায় প্রায় ১৫০টি আবাসন প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। মেলায় রয়েছে ২২০টি স্টল। এছাড়া মেলায় ১৫টি নির্মাণসামগ্রী এবং ৩০টি ব্যাংক ও আর্থিকপ্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। যতবার আয়োজন করি, সাড়া পাই। করোনাকালের সংকট কাটিয়ে উঠতে অনেক প্রতিষ্ঠান প্লট কিংবা ফ্লাট বুকিংয়ে দিচ্ছে বিশেষ ছাড়।

মেলায় ঘুরে ঘুরে সাধ আর সাধ্যের মধ্যে ফ্লাট পছন্দ করেন দর্শনার্থীরা। কেউ কেউ বুকিংও দিচ্ছেন মেলায় এসে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকছে, চলবে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। মেলায় প্রবেশের টিকিট মূল্য ৫০ টাকা।

আরও পড়ুন: রিহ্যাব ফেয়ার: মধ্যবিত্তের চাহিদা মাঝারি ফ্ল্যাটে

বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০২১
এসএমএকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।