ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

এলডিসি উত্তরণের পরেও শুল্কমুক্ত সুবিধার আশা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১০ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২২
এলডিসি উত্তরণের পরেও শুল্কমুক্ত সুবিধার আশা

ঢাকা: স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণের পর শুল্কমুক্ত বাণিজ্যসুবিধা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।

তিনি বলেন, গত ১২-১৬ জুন জেনেভায় অনুষ্ঠিত ডব্লিউটিও এর মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্সে (এমসি ১২) বাংলাদেশের দেওয়া প্রস্তাবগুলো জোরালোভাবে সমর্থন করা হয়েঠে।

আগামী ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয় এমসি-১৩ সম্মেলনে ভালো কিছু ফল পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব।

রোববার (২৬ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেনেভায় অনুষ্ঠিত মিনিস্ট্রিরিয়াল কনফারেন্স (এমসি ১২) উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, জেনেভায় অনুষ্ঠিত ডব্লিউটিও এর মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্সে বাংলাদেশ এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর আরও কয়েক বছর বাজার সুবিধা অব্যাহত রাখার বিষয়ে জোরালো দাবি তুলে ধরেছে। এলডিসি থেকে উত্তরণের পর ১২ বছর বাণিজ্যসুবিধা পাওয়ার সময় বৃদ্ধির প্রস্তাব থাকলেও তা পরে ৬ থেকে ৯ বছরে বৃদ্ধির দাবি জোরালো হয়েছে। ডব্লিউটিও এর মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্সে সংস্থার আওতায় প্রাপ্ত সুবিধা সমূহ আরও কিছু সময় পর্যন্ত বৃদ্ধির যৌক্তিকতা আছে বলে সম্মেলনে অভিমত প্রকাশ করা হয়েছে। এর ফলে পরর্তীতে এ বিষয়ে আরও আলোচনার পথ সুগম হলো।  

তিনি বলেন, এমসি-১২ সম্মেলনে মৎস্যখাতে ভর্তুকির বিষয়ে একটি চুক্তি অনুমোদিত হয়েছে। এত অবৈধ ফিসিং ভেসেলে কোনো ভর্তুকি দেওয়া যাবে না এবং প্রয়োজনের অতিরিক্ত মৎস্য আহরণ করা যাবে না। কোভিড-১৯ এবং ভবিষ্যৎ মহামারি মোকাবিলা করার জন্য সংশ্লিষ্ট সেক্টরের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রযুক্তি হস্তান্তরের বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে ট্রিপস চুক্তি মোতাবেক বাণিজ্য সহজ করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে, খাদ্যদ্রব্য রপ্তানির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্স চলাকালে বাণিজ্যমন্ত্রী সিঙ্গাপুর, নেপাল, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্যদের সঙ্গে পৃথকভাবে দ্বিপাক্ষিক সভা করেছেন। এতে দেশগুলোতে রপ্তানি বৃদ্ধি এবং বাণিজ্য বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয় এবং এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পরও বাংলাদেশের জন্য বাজার সুবিধা অব্যাহত রাখার আহবান জানানো হয়।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে বাণিজ্যসচিব বলেন, নেপালের সঙ্গে পিটিএ স্বাক্ষর নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং সিঙ্গাপুর বাংলাদেশের সঙ্গে এফটিএ স্বাক্ষরের আগ্রহ প্রকাশ করে।

জেনেভায় অনুষ্ঠিত মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্সে (এমসি-১২) আউটকাম ডকুমেন্টসহ ৭টি সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং জেনারেল কাউন্সিলের ৩টি সিদ্ধান্ত অনুমোদন করা হয়। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির নেতৃত্বে ৬ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৭ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২২
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad