ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ঢাবির কলা অনুষদের ১৮৬ শিক্ষার্থী পেলেন ডিনস অ্যাওয়ার্ড

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২২
ঢাবির কলা অনুষদের ১৮৬  শিক্ষার্থী পেলেন ডিনস অ্যাওয়ার্ড

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় অসাধারণ ফলাফলের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কলা অনুষদভুক্ত বিভিন্ন বিভাগের ১৮৬ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে ‘ডিনস অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পুস্তক রচনা ও গবেষণা কর্মের জন্য অনুষদের সাতজন শিক্ষককে ডিনস অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের হাতে অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন।

কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। এছাড়া অনুষ্ঠানে ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ এফ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারপারসন অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেন। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সৈয়দ আজিজুল হক। অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন সহযোগী অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান।  

উপাচার্য আখতারুজ্জামান বলেন, কৃতি শিক্ষার্থীদের স্বীকৃতি দেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। ‌ তার‌ই ধারাবাহিকতায় আজকের এই ডিনস অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সব অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানাই এবং অনুষদের ডিনসহ সব সহকর্মীদের ধন্যবাদ জানাই।  

তিনি বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, অংশীদার মূলক ও অসাম্প্রদায়িক মানবিক বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে সব সংস্কৃতি, ধর্ম, বর্ণের, মানুষকে স্বাগত জানাই। আমরা আজ দেখছি সৌদি আরব, ইরান, আফগানিস্তানের মতো দেশের নারীরা এগিয়ে আসছে এবং সমাজের বিভিন্ন কাজে অন্তর্ভুক্ত হতে চাচ্ছে। কারণ এখন এসডিজি অর্জনে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু যখন শুনি একজন শিক্ষার্থী তার অভিভাবকসূলভ শিক্ষকের কাছে তার মুখ দেখাতে অস্বীকৃতি জানান তখন খুবই হতাশ হই। মানুষের মুখ হচ্ছে সৃষ্টির সবচেয়ে সুন্দর জিনিস। আমরা সেটার মাধ্যমে একজন মানুষের সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলি, হ্যান্ডসেক করি। কিন্তু কেউ যখন সেটা থেকে বিরত থাকতে চায় তখন খুবই ব্যথিত হই। আমরা সব ধর্মকে সম্মান করি। কিন্তু সেটার সুযোগ নিয়ে কেউ যদি মূলধারা থেকে বাইরে চলে যান তখন তার জন্য কিছু মোটিভেশন দরকার আছে বলে মনে করি। এটি একটি অসাম্প্রদায়িক মানবিক ক্যাম্পাস কিন্তু সেটির অপব্যবহার যাতে না হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২২
এসকেবি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।