জবি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসেন হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কঠোর অবস্থান নিয়েছে। ইতোমধ্যে আগামী ২২ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের সব কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার (২০ অক্টোবর) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষক, ছাত্রনেতা ও সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এক ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ২১ ও ২২ অক্টোবর দুই দিন শোক পালন করা হবে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত থাকবে, তবে ক্লাস চলবে। শোকের দুই দিনের প্রথম দিন শোক সভা এবং দ্বিতীয় দিন বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে শোক র্যালি করা হবে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের সব আয়োজন ও আনুষ্ঠানিকতা স্থগিত থাকবে।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীরা আমাদের সন্তান। জোবায়েদকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বসবো, প্রশাসনের পক্ষ থেকেও উদ্যোগ নেওয়া হবে। আমাদের একটাই দাবি—হত্যাকাণ্ডের বিচার। বিচার না হলে আমি আমার শিক্ষার্থীদের নিয়ে পুরান ঢাকা অচল করে দেব। ’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, ‘জোবায়েদের মৃত্যু আমাদের গভীরভাবে শোকাহত করেছে। তাই এবারের বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন স্থগিত করা হলো। সাজসজ্জা থাকলেও লাইট জ্বলবে না। জোবায়েদ হত্যার সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা থামব না। ’
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শোক শেষে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপনের নতুন তারিখ পরবর্তীতে ঘোষণা করা হবে।
হত্যাকাণ্ডের শিকার জোবায়েদ হোসেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী।
গতকাল রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পুরান ঢাকার আরমানিটোলার একটি বাসার সিঁড়িতে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় তাকে। তিনি নূরবক্স রোডের রৌশান ভিলা নামে বাড়িটিতে বর্ষা আক্তার নামে দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়াতেন।
হত্যাকাণ্ডের পর ওই ছাত্রীকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। এ হত্যাকাণ্ডে বর্ষার কথিত বয়ফ্রেন্ডের সংশ্লিষ্টতা আছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুইজন ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি তাদের পরিচয় জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এইচএ/