ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

১৪ মার্চ থেকে রাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা শুরু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২৩
১৪ মার্চ থেকে রাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা শুরু

রাজশাহী: স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে রাবি শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় দুই দিন বন্ধ থাকার পর আগামীকাল মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আবারও যথারীতি ক্লাস-পরীক্ষা চলবে। উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার আজ (১৩ মার্চ) এই তথ্য জানিয়েছেন।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আজ সোমবার (১৩ মার্চ) দুপুরে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এই কথা জানান।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, ‘স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এ সময় অনেক বিভাগের পরীক্ষাও ছিল। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পরপর দুই দিন ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেই। তবে মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম আবার যথারীতি চলবে।

তিনি জানান, মঙ্গলবার শিক্ষার্থী প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনায় বসা হবে। আর এই ঘটনায় তিন সদস্য কমিটি পুনর্গঠন করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট করা হয়েছে। এই কমিটিকে আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এরপর তদন্ত কমিটির রিপোর্ট ও সুপারিশ অনুযায়ী পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, গত ১১ মার্চ (শনিবার) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ক্যাম্পাস সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে স্থানীয়দের উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণ উদঘাটন ও ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সুপারিশ করার জন্য উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীরকে সভাপতি করে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্যান্য সদস্য হচ্ছেন- অধ্যাপক মো. তারিকুল হাসান (রসায়ন বিভাগ), অধ্যাপক মো. আব্দুর রশিদ সরকার (অর্থনীতি বিভাগ), মো. শফিকুজ্জামান জোয়ার্দার (সিন্ডিকেট সদস্য) ও ড. মো. আরিফুর রহমান (সহকারী প্রক্টর)।

এ সময় তিনি দাবি করেন- ঘটনার সুযোগ নিয়ে ওই দিন বহিরাগতরা ছাত্রদের মধ্যে ঢুকে পড়ে। মূলত তারাই হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে। রাবি শিক্ষার্থীরা এমন কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারে বলেও দাবি করেন ভিসি।

প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় রাবি প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। শনিবার (১১ মার্চ) বিকেল ৫টা থেকে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। রাত প্রায় সাড়ে ১১টা পর্যন্ত থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকসহ দুই শতাধিক ব্যাক্তি আহত হয়েছেন।

দফায় দফায় ভয়াবহ এই সংঘর্ষের ঘটনার পর থেকে সেখানে পুলিশ ও র‌্যাবের পাশাপাশি ৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২৩
এসএস/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।