ঢাকা: এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে ঢাকা বোর্ডের সম্মিলিত মেধা তালিকায় পঞ্চম হয়েছে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। প্রতিষ্ঠানটির মোট ৩৮২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩২০ জন।
প্রতিষ্ঠানটিতে পাসের হার ৯১.১২ ভাগ। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের ৩০৭ জনের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৯০ জন। ব্যবসায় শিক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ৫২ জনের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৩০ জন। মানবিক বিভাগে ২৩ জন পরীক্ষা দিলেও জিপিএ-৫ একজনও পায়নি।
গত বছর বোর্ডের সম্মিলিত মেধা তালিকায় চতুর্থ স্থানে ছিল ঐতিহ্যবাহী এ প্রতিষ্ঠান। এবার একধাপ নেমে আসলেও তাতে খুব বেশি বিচলিত নন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ কর্নেল মো. মোসলেহ উদ্দিন ভূঁঞা।
এ প্রসঙ্গে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘যেসব প্রতিষ্ঠান আমাদের চেয়ে ভালো করেছে তাদের শিক্ষার্থী সংখ্যা বেশি। এখানে আমরা একটু পিছিয়ে রয়েছি। এছাড়া এ বছর মানবিক বিভাগে আমাদের কোনো শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পায়নি। এটাও পিছিয়ে থাকার কারণ। ’
তিনি বলেন, ‘আমি এ প্রতিষ্ঠানে নতুন যোগদান করেছি। রেজাল্টের সাফল্য পুরোটারই কৃতিত্ব আমার পূর্বের অধ্যক্ষ, শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের। আশা করি, আগামীতে আমরা আরও ভালো করবো। ’
এর আগে ফলাফল ঘোষণা করেন মো. মোসলেহ উদ্দিন ভূঁঞা। প্রতিষ্ঠানের কৃতিত্বে শিক্ষার্থীরা এ সময় ব্যান্ডের তালে নেচে-গেয়ে উল্লাস করতে থাকেন।
বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পাওয়া সাকিব মাহমুদ জাকারিয়া বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমার সাফল্যের পেছনে সবচেয়ে অবদান বাবা-মায়ের। এরপরে শিক্ষকদের। ১০ বছর সাধনার পরে এ অর্জন আসলেই আনন্দের। ’
এরপরে কথা হয় বিজ্ঞান বিভাগের আরেক কৃতী শিক্ষার্থী সাখাওয়াতের সঙ্গে। জিপিএ-৫ পাওয়ায় বাবা-মাকেই সবচেয়ে বেশি ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে সরকার ও বিরোধী দলকে শিক্ষার্থীদের সবদিক বিবেচনা করারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সাখাওয়াৎ বলেন, ‘হঠাৎ করে হরতাল দিলে আমাদের লেখাপড়ার ক্ষতি হয়। সরকারেরও উচিত শিক্ষার্থীদের আরও বেশি সহযোগতা করা। ’
কথা হয় মোহাম্মদপুরের গৃহিনী ফাহমিদা রহমানের সঙ্গে। সন্তানের সাফল্যে আনন্দাশ্রু ঝরতেও দেখা যায় তার চোখে। তিনি বলেন, ‘সন্তানের জন্য অনেক কষ্ট করেছি। সন্তান ভালো রেজাল্ট করলে সব কষ্ট ম্লান হয়ে যায়। ’
তিনি বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা ও জাতীয় শিক্ষানীতিকে যুগোপযোগী উল্লেখ করে সরকারকে আরও আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৬ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০১২
এসএইচ/সম্পাদনা: রানা রায়হান, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর