রাজশাহী: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ‘এ’ ইউনিটের (মানবিক) ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি ও অন্যের হয়ে প্রক্সি দেওয়ার অভিযোগে সাতজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এরপর বুধবার (৩১ মে) সকালে তাদের নামে মামলা দায়ের করা হয়।
তার নাম শেখ আবু হানিফ। তিনি ৩৮তম বিসিএসে নন ক্যাডার। এছাড়া তিনি এখন বরিশালের গৌরনদী উপজেলার সমাজসেবা অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন।
বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ সিনেট ভবনে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানিয়েছেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) বিজয় কুমার বসাক।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বিজয় কুমার বলেন, মঙ্গলবার (৩০ মে) রাবি প্রশাসনের হাতে আটককৃত সাতজনের মধ্যে একজন ৩৮তম বিসিএসের ননক্যাডার হিসেবে সমাজসেবা অধিদপ্তরে কর্মরত। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি অস্বীকার করেনি। তবে পুলিশের অনুসন্ধানে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
মূলত তার বাড়ি বরিশালের ঝালকাঠির নলছিটিতে। তিনি বর্তমানে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার সহকারী সমাজসেবা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন।
এদিকে রাবি সূত্রে জানা গেছে মঙ্গলবার ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় চতুর্থ শিফটে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনের ১৩৯ নম্বর কক্ষে রূপম সরকারের (রোল-৭৪২৬২) হয়ে প্রক্সি দেন ওই বিসিএস কর্মকর্তা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাবি জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, তারা প্রথমে সন্দেহজনকভাবে দুইজনকে আটক করেন। এরপর এক এক করে মোট সাতজনকে আটক করা হয়। এর মধ্যে এনামুল হক, মো. তানভীর আহমেদের (রোল ৫৮৩৯৭) হয়ে; মো. বিদ্যুৎ হাসান, মো. মাইনুল ইসলামের (রোল ৫৬৯৭৯) হয়ে; মো. সোহানুর রহমান, মো. তাহমিদ বিন সাদমানের (রোল ৮২৪৪০) হয়ে; মো. হোসাইন, মো. জাহিদ আল হাসান সিয়ামের (রোল ২১৬০২) হয়ে ও মো. স্বপন হোসাইন, তানভীর আহমেদের (রোল ২৪০৯৬) হয়ে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন।
এছাড়া আটক মো. আব্দুর রাকিব (রোল ৪০৯৪৩) প্রকৃত পরীক্ষার্থী হলেও তার রেজিস্ট্রেশনে অন্যের ছবি পাওয়া যায়। আটককৃত অপর পরীক্ষার্থীর বিষয়ে রাবি আইসিটি সেন্টার থেকে প্রাপ্ত তথ্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষ যাচাই-বাছাই করছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৭ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২৩
এসএস/এএটি