নীলফামারী: নীলফামারীর ডিমলায় জাল সনদে নিয়োগ পাওয়া ৭ শিক্ষকের চাকরি বাতিল করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
একই সঙ্গে বেতন-ভাতা বাবদ ভোগ করা টাকা ফেরত দিতে বলা হয়েছে এবং তাদের নামে মামলা করতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে (মাউশি) নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে ডিমলা উপজেলা শিক্ষা কার্যালয় জানায়, বিষয়টি কার্যালয়ের কর্মকর্তারা মৌখিকভাবে শুনেছেন। এখনো মন্ত্রণালয়ের কোনো নির্দেশনা এসে পৌঁছায়নি। এছাড়া অভিযুক্ত শিক্ষকেরাও বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান করাচ্ছেন।
শিক্ষা বিভাগ থেকে জানা গেছে, ডিমলায় ৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাত শিক্ষক জাল সনদের আশ্রয় নেওয়ার বিষয়টির প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ছয় জন শিক্ষক সরকারি বেতন-ভাতা তুলেছেন। একজন এমপিওভুক্ত না হওয়ায় বেতন-ভাতা পাননি।
এমপিওভুক্ত না হওয়া শিক্ষক হলেন- উপজেলার জটুয়াখাতা দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিষয়ের সহকারী শিক্ষক আলমগীর হোসেন।
জাল সনদে এমপিওভুক্ত হওয়া শিক্ষকেরা বিভিন্ন অঙ্কে বেতন বাবদ সরকারি তহবিল থেকে মোট ৬১ লাখ ৯১ হাজার ৭৬ টাকা তুলেছেন। এর মধ্যে সোনাখুলি চাপানি সৈকত নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কৃষিশিক্ষা বিষয়ের সহকারী শিক্ষক আশরাফ হোসেন ১১ লাখ ১২ হাজার ৪৮৭ টাকা, জটুয়াখাতা দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের ইসলাম ধর্ম বিষয়ের সহকারী শিক্ষক সাইফুর রহমান ২ লাখ ৮ হাজার, খগাখড়িবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষা বিষয়ের সহকারী শিক্ষক নাজিফা আলম ৮ লাখ ৪৫ হাজার ৭৫০, বালাপাড়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিষয়ের সহকারী শিক্ষক আনারুল হক ১১ লাখ ২৯ হাজার ৭৯৮, দক্ষিণ কাঁকড়া সাইফুন সাইড নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিষয়ের সহকারী শিক্ষক সাইফুল ইসলাম ১৬ লাখ ২০ হাজার ২৪৮ টাকা এবং তিস্তা কলেজের কম্পিউটার বিভাগের প্রভাষক আব্দুর রাজ্জাক ১২ লাখ ৭৪ হাজার ৭৯৩ টাকা তুলেছেন।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের নোটিশ পেয়েছি। অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা এখন পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা পাইনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, জুন ৭, ২০২৩
এনএস