ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ মে ২০২৪, ০৫ জিলকদ ১৪৪৫

শিক্ষা

শুধু বিদেশি ভাষায় কথা বললেই স্মার্ট নাগরিক হওয়া যাবে না: শিক্ষামন্ত্রী 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৪ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২৩
শুধু বিদেশি ভাষায় কথা বললেই স্মার্ট নাগরিক হওয়া যাবে না: শিক্ষামন্ত্রী 

ঢাকা: শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমাদের জীবনের সবকিছুই আজ ডিজিটাল বাংলাদেশের সঙ্গে জড়িত। আগামীর বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ।

শুধু বিদেশি ভাষায় কথা বললেই স্মার্ট নাগরিক হওয়া যাবে না। স্মার্ট নাগরিক সেই, যে- সৎ, মানবিক, সৃজনশীল ও যার পরমত সহনশীলতার সক্ষমতা আছে। এ ক্ষেত্রে নিজের ভাষা, সাহিত্যকে জানতে হবে।
 
সোমবার (১৯ জুন) বিকেলে রাজধানীর মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০২৩ এর পুরস্কার বিতরণী আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তব্য শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন।  
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব, মাউশির মহাপরিচালক ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিবসহ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা আমাদের যে পথ দেখিয়েছিলেন সে পথে আমরা হাঁটতে পারিনি। কারণ, ঘাতকরা তাকে শেষ করার পর এ দেশের ঔপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন না করে মুখস্থনির্ভর শিক্ষা প্রক্রিয়ায় আবদ্ধ রেখেছে। এসবের মধ্য দিয়ে তারা এ দেশকে পাকিস্তান বানিয়ে রাখতে চেয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার পরেই শিক্ষা, বিজ্ঞান, চিকিৎসাসহ সবক্ষেত্রে উন্নত করছেন। দেশকে বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির শিখরে নিতে কাজ করে যাচ্ছেন।  

তিনি বলেন, আমরা একটি মানবিক বাংলাদেশ তৈরি করতে পেরেছি। আমাদের পাশের দেশ থেকে পালিয়ে আসা অজস্র নাগরিককে আশ্রয় দিয়েছি। এমন উদাহরণ বিরল। আমরা চাই আমাদের প্রতিটি শিক্ষার্থী হোক সৎ ও মানবিক।

ডা. দীপু মনি বলেন, ঔপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল, ৪০ বছর ধরে মুখস্থ বিদ্যা দিয়ে এদেশ চলে আসছে। সেখান থেকে বেরিয়ে এসে বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষায় জাতিকে শিক্ষিত করতে নানা ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে মানবিক বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা মেধা ও সৃজনশীলতা দিয়ে একটি সুন্দর পৃথিবী গড়ে তুলতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলেই আমি প্রত্যাশা করি।  

আয়োজনে দেশসেরা শিক্ষক-শিক্ষার্থী-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

এর আগে ৫ ও ৬ জুন জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের বিজয়ীদের নির্বাচিত করা হয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০২৩ (মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মাদ্রাসা) উপলক্ষে সারা দেশে কয়েক ধাপের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শ্রেষ্ঠদের বাছাই করা হয়।  

শ্রেষ্ঠ চার শিক্ষার্থী হলো, বিদ্যালয় পর্যায়ে টাঙ্গাইলের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী সাবাহ বিনতে বায়েজিদ, কলেজ পর্যায়ে রাজশাহী কলেজের মোসা. আফরা মেহজাবিন, মাদ্রাসা পর্যায়ে গোপালগঞ্জ ছালেহিয়া কামিল মাদরাসার ছাত্র মো. রহমাতুল্লাহ ও কারিগরি পর্যায়ে রংপুরের আইডিয়াল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির ছাত্র মো. রাগিব ইয়াসির রোহান।  

শ্রেষ্ঠ চার শিক্ষক হলেন, বিদ্যালয় পর্যায়ে ভোলার লালমোহন সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. হোসনে আরা বেগম শ্রেষ্ঠ শ্রেণীশিক্ষক হয়েছেন।  

এছাড়া কলেজ পর্যায়ে ময়মনসিংহের মুমিনুন্নিসা সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষক মো. জুলফিকার হায়দার, মাদ্রাসা পর্যায়ে রংপুরের ধাপ সাতগাড়া বায়তুল মুকাররম মডেল কামিল মাদরাসার প্রভাষক মো. মিজানুর রহমান ও কারিগরি পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণীশিক্ষক হয়েছেন কুমিল্লার আফজল খান এবং কারিগরি ও কমার্স কলেজের শিক্ষক মো. নিজামুদ্দীন।

শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান হলেন যারা, বিদ্যালয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান হয়েছেন ঢাকার মিরপুরের মডেল একাডেমির শুভাশীষ কুমার বিশ্বাস, কলেজ পর্যায়ে রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যাপক জুবাইদা আয়েশা সিদ্দিকা, মাদ্রাসা পর্যায়ে কুষ্টিয়ার সদরের আফসার উদ্দিন গার্লস ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসার হাফেজ মোহা. আবদুল করিম ও কারিগরি পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান হয়েছেন বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মো. রুহুল আমিন।  

সেরা চার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হলো, বিদ্যালয় পর্যায়ে সাভারের সেনা পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কলেজ পর্যায়ে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ, মাদ্রাসা পর্যায়ে বাগেরহাটের রামপালের ইসলামাবাদ ছিদ্দিকীয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা এবং কারিগরি পর্যায়ে রাজশাহী মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৩ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২৩
এইচএমএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।