ঢাকা, বুধবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ মে ২০২৪, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

গবেষণায় সম্মানজনক বৃত্তি ও আবাসিক সুবিধা নিশ্চিতের আহ্বান

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৩
গবেষণায় সম্মানজনক বৃত্তি ও আবাসিক সুবিধা নিশ্চিতের আহ্বান

ঢাকা: আন্তর্জাতিক র‍্যাংকিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সম্মানজনক অবস্থান নিশ্চিতে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার সংস্কৃতি তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যানের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর।

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) ইউজিসিতে রিসার্চ সাপোর্ট অ্যান্ড পাবলিকেশন (রিসাপা) ডিভিশন আয়োজিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি।

রিসাপা ডিভিশনের পরিচালক ড. মো. ফখরুল ইসলাম কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।  

দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে রাসায়নিক বিজ্ঞান উপ-শাখার গবেষণা প্রকল্প প্রস্তাব মূল্যায়নবিষয়ক কর্মশালায় ৩৬টি গবেষণা প্রকল্প প্রস্তাব মূল্যায়ন করা হয়।  

অধ্যাপক আলমগীর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স ও পিএইচডি পর্যায়ে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের দিয়ে গবেষণা পরিচালনা এবং মানসম্পন্ন গবেষণার জন্য শিক্ষার্থীদের সম্মানজনক বৃত্তি এবং আবাসিক সুবিধা দেওয়ার উদ্যোগ নিতে হবে।  

তিনি বলেন, ইউজিসি দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মানসম্পন্ন ও ফলধর্মী গবেষণা পরিচালনার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে গবেষণায় আগ্রহী করতে এ খাতে বরাদ্দ বাড়ানো, আন্তর্জাতিক জার্নালে গবেষণার ফল প্রকাশে অনুদান, আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে অংশগ্রহণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয়-আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সেমিনার আয়োজনে অর্থ সহযোগিতাসহ নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে ইউজিসি।  

এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ গবেষণায় এগিয়ে যাবে বলে তিনি মনে করেন। অধ্যাপক আলমগীর বলেন, গবেষণায় চৌর্যবৃত্তি প্রতিরোধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রণীত একটি নীতিমালা ইউজিসি হাইকোর্টে পাঠিয়েছে। এ সম্পর্কে নির্দেশনা পাওয়ার পরে তা সব বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হবে।

তিনি গবেষণার বিভিন্ন শাখার প্রকল্প মূল্যায়ন দ্রুত ও নিরপেক্ষভাবে সম্পাদন করতে সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানান। গবেষণা প্রকল্প বাস্তবতার নিরিখে এবং দেশ-জাতির কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখছে কি না, তা দেখতে মূল্যায়নকারীদের তিনি আহ্বান জানান।  

ড. ফখরুল ইসলাম বলেন, ইউজিসির অর্থায়নে পরিচালিত প্রতিটি গবেষণা স্বীকৃত জার্নালে প্রকাশের ব্যবস্থা নিতে হবে। দেশে গবেষণার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে ইউনিভার্সিটি-ইন্ডাস্ট্রি কোলাবোরেটিভ রিসার্চ গ্র্যান্টস নামে একটি নীতিমালা করা হচ্ছে। ইউনিভার্সিটি-ইন্ডাস্ট্রি এবং একাডেমিয়ার কোলাবোরেশন জোরদার করার ক্ষেত্রেও ইউজিসি কাজ করছে।  

কর্মশালায় বিশেষজ্ঞ হিসেবে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আল-নকিব চৌধুরী, সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আশরাফুল আলম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. নুরুল আবছার, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. একেএম লুৎফর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এমরান কাইয়ুম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইদ আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সাইদ মো. শামসুদ্দিন, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. আবু বিন হাসান সুসান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মোতাহার হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. নিলুফার নাহার, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. কৌশিক শাহা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জামির হোসেন, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাজিবুল হক আকন্দ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. দেলোয়ার হোসেন অংশ নেন।  

এ ছাড়া, কর্মশালায় রিসাপা ডিভিশনের অতিরিক্ত পরিচালক নাহিদ সুলতানাসহ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৩
এমআইএইচ/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।