ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

আবারও কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি শিক্ষা ক্যাডারদের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৩
আবারও কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি শিক্ষা ক্যাডারদের

ফেনী: পদোন্নতি জটিলতা নিরসন, নতুন পদ সৃষ্টি, পে স্কেল সমস্যার সমাধানসহ শিক্ষা ক্যাডারে নানা বৈষম্য দ্রুত নিরসনের দাবি জানিয়েছে সরকারি কলেজ শিক্ষকদের সংগঠন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির ফেনী জেলা ইউনিট। দ্রুত এসব সমস্যা সমাধান না হলে কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে একাত্ম হয়ে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সমিতির নেতারা।

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ফেনী সরকারি কলেজ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি দেন সমিতির নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, পদোন্নতিতে জটিলতা, নতুন পদ সৃষ্টি না হওয়া, অর্জিত ছুটি না দেওয়া, নতুন পে স্কেলের সমস্যা সমাধান না হওয়ায় শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা নানা ধরনের বৈষম্যের শিকার।

তারা বলেন, দ্রুত এসব সমস্যা সমাধান করতে হবে। না হলে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হব। অতীতেও আমরা ৮১ দিন কর্মবিরতি পালন করেছি। তবে আমরা শিক্ষায় কর্মবিরতির মতো কঠোর কর্মসূচি দিতে চাই না।

বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সমূহে শিক্ষক ও শিক্ষাসংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে জনবলের ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে। শিক্ষা ক্যাডারে প্রাপ্যতা অনুযায়ী কখনোই পদ সৃজন করা হয়নি। ২০১৪ সালে ১২ হাজার ৪৪৪টি পদ সৃজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘ ৯ বছরেও এ পদগুলো সৃজন হয়নি। ফলে দিন দিন বাড়ছে শিক্ষক সংকট। এর প্রভাব পড়ছে পুরো শিক্ষা ব্যবস্থায়। কারণ শিক্ষক ছাড়া মানসম্মত শিক্ষা প্রদান সম্ভব নয়।

দ্রুত শিক্ষা ক্যাডারে বৈষম্য নিরসন করার দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, অন্যান্য ক্যাডারে চাকরির ৫ বছর পূর্তিতে ৯ম গ্রেড থেকে ৬ষ্ঠ গ্রেডে পদোন্নতি দেওয়া হলেও শিক্ষা ক্যাডারে তা দেওয়া হচ্ছে না। অনেকেই একই পদে ৮-১৩ বছর ধরে কর্মরত। পদোন্নতি না হওয়ায় অনেককে সামাজিকভাবে অমর্যাদাকর অবস্থায় পড়তে হচ্ছে। তাই পদ সৃজন না হলে সুপার নিউমারির পদে পদোন্নতি দিয়ে ক্যাডার বৈষম্য নিরসনের দাবি জানাই।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমিতির ফেনী জেলা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিম সরকার। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষা ক্যাডার সৃষ্টি করা হলেও বিশেষায়িত পেশা হিসেবে সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারকে গড়ে তোলা হয়নি। উপরন্তু এ পেশাকে গ্রাস করছে অনভিজ্ঞ অপেশাদাররা।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষা ক্যাডারকে অবকাশমুক্ত করা জরুরি। বর্তমানে শিক্ষা ব্যবস্থা ছুটির ফাঁদে পড়েছে। বর্তমানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সপ্তাহে দুই দিন ছুটি ভোগ করে। আবার অবকাশ বিভাগ বিধায় অবকাশকালীন ছুটি বছরে ৫৫ দিন ভোগ করে। তাতে বছরের প্রায় ৫০ শতাংশ সময় ক্লাস বন্ধ থাকে। অন্যদিকে অর্জিত ছুটি পাওয়ার পক্ষে জোরালো যুক্তি থাকার পরও বঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তারা।

সেলিম সরকার আরো বলেন, ন্যায্য দাবি পূরণে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে আগামী ১০, ১১, ১২ অক্টোবর টানা তিন দিনের কর্মবিরতি পালন করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, ফেনী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোক্তার হোসেইন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফেনী জেলা ইউনিটের সভাপতি প্রফেসর মোহাম্মদ দেলওয়ার হোসেন। উপস্থিত ছাগলনাইয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ খলিলুর রহমান, ফেনী জিয়া মহিলা কলেজের জয়নুল আবেদীনসহ শতাধিক কলেজ শিক্ষক।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৩
এসএইচডি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।