ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

হিট অ্যালার্টেও খোলা স্কুল, নোয়াখালীতে অসুস্থ ৩০ শিক্ষার্থী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০২৪
হিট অ্যালার্টেও খোলা স্কুল, নোয়াখালীতে অসুস্থ ৩০ শিক্ষার্থী

নোয়াখালী: হিট অ্যালার্টের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রথম দিনে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ ও দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩০ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ১১টার টার মধ্যে বেগমগঞ্জ উপজেলার আমান উল্যাপুর ইউনিয়নের জয়নারায়ণপুর ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসা ও হাতিয়া উপজেলার জনকল্যাণ শিক্ষা ট্রাস্ট হাইস্কুলে এ ঘটনা ঘটে।

 

পরে বিদ্যালয় ও মাদরাসার শিক্ষকরা স্থানীয় চিকিৎসক ডেকে এনে শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।  

জানা গেছে, বেগমগঞ্জ আমান উল্যাপুর ইউনিয়নের জয়নারায়ণপুর ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসায় সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ক্লাস শুরু হবে। তাই সবাই শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের জন্য অপেক্ষা করছিল। সোয়া ১০টার দিকে শিক্ষার্থী আফিফা গরমে হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে তার মাথায় পানি ঢালার পর তার জ্ঞান ফিরলে তাকে তাকে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। আফিফা ওই মাদরাসার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ও শিক্ষক দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে।

মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক জামাল উদ্দিন জানান, আফিফা অজ্ঞান হয়ে পড়েছিল। আমরা তার মাথায় পানি ঢালার পর সে সুস্থ বোধ করলে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেই। আফিফা ছাড়াও ১০-১২ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ বোধ করছিল। আমরা তাদেরও ছুটি দিয়ে দিয়েছি।

হাতিয়া জনকল্যাণ শিক্ষা ট্রাস্ট হাইস্কুলের সহকারী জ্যেষ্ঠ শিক্ষিকা ফাতেমা ইসরাত জানান, সকাল ১০টার দিকে বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির পাঠদান কার্যক্রম শুরুর পর বিভিন্ন শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসুস্থতা লক্ষ্য করা যায়। একপর্যায়ে ষষ্ঠ শ্রেণির ১১ জন, অষ্টম শ্রেণির দুইজন নবম শ্রেণির দুইজন ও দশম শ্রেণির দুইজন শিক্ষার্থীসহ ১৭ জন প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ে।  

তিনি আরও জানান, শিক্ষার্থীদের কারো পেট ব্যথা, কারো মাথাব্যথা, কারো চোখ ব্যথা লক্ষ্য করা যায়। এ সময় একজন শিক্ষার্থী বমি শুরু করে। শিক্ষার্থীদের এমন অবস্থা দেখে তাৎক্ষণিক শ্রেণি শিক্ষক তাকে বিষয়টি জানান। পরে স্থানীয় এক পল্লী চিকিৎসককে ডেকে এনে অসুস্থ সব শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।  

বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হাতিয়া জনকল্যাণ শিক্ষা ট্রাস্ট হাইস্কুলের ঘরটি টিনের হওয়ার কারণে বিদ্যালয়ে আসার পর শিক্ষার্থীরা বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গরমে হাঁসফাঁস করতে থাকে। তারা এরই মধ্যে গরমের কারণে সৃষ্ট সংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুদ্দিন জাহাঙ্গীর জানান, হাতিয়ার জনকল্যাণ ট্রাস্ট হাইস্কুলে গরমের কারণে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ার বিষয়টি তিনি জেনেছেন। এছাড়া আর কোথাও কোনো শিক্ষার্থী অসুস্থ হওয়ার খবর পাননি তিনি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।