ঢাকা, শনিবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

এইচএসসি: ছাত্র আন্দোলনে শহীদ শাহরিয়ার পেল জিপিএ- ৪.৮৩

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২৪
এইচএসসি: ছাত্র আন্দোলনে শহীদ শাহরিয়ার পেল জিপিএ- ৪.৮৩ শহীদ শাহরিয়ার

ময়মনসিংহ: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ শেখ শাহরিয়ার বিন মতিন জিপিএ-৪.৮৩ পেয়ে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। এই খবরে উচ্ছ্বাসের বদলে বিষাদের নেমে এসেছে শাহরিয়ারের পরিবার, সহপাঠী ও স্বজনদের মধ‍্যে।

 

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বিকেল তিনটায় এ তথ‍্য নিশ্চিত করেছেন শহীদ শাহরিয়ারের চাচা আব্দুল মোতালেব।  

শাহরিয়ারের বাড়ি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার কুমড়াশাসন উত্তরপাড়া গ্রামে। তার বাবার নাম আব্দুল মতিন। পরিবারের দুই সন্তানের মধ‍্যে শাহরিয়ার ছিল বড়। সে এবার ঈশ্বরগঞ্জ আইডিয়াল কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল।  

শহীদ ভাতিজার ফলাফলের খবর নিশ্চিত করে চাচা আব্দুল মোতালেব বলেন, পরীক্ষা পাসের খবরে কলিজা ফেটে যাচ্ছে। আমার ভাতিজা আন্দোলনে শহীদ হয়েছে প্রায় তিন মাস আগে। এখন তার পরীক্ষার ফলাফল হয়েছে, সে পাস করেছে।  

তিনি আরও বলেন, আমাদের দুই ভাইয়ের একটি মাত্র ছেলে সন্তান ছিল শাহরিয়ার। এখন আমাদের দুই ভাইয়ের বংশে আর কোনো প্রদীপ নেই।

সূত্র জানায়, শহীদ শাহরিয়ারের বাবা আব্দুল মতিন স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে বতর্মানে ওমরা হজ করতে সৌদি আরবে অবস্থান করছেন। সেখানে থেকেই তিনি ছেলের ফলাফলের খবর পেয়েছেন।  

এর আগে গত ১৮ জুলাই ঢাকার মিরপুরে ১০ নম্বরের গোল চত্বরের কাছে গুলিবিদ্ধ হন শেখ শাহরিয়ার বিন মতিন। তার ডান চোখের পাশ দিয়ে গুলি ঢুকে মস্তিষ্ক ছেদ করে বেরিয়ে যায়।  

শাহরিয়ারের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, পরীক্ষার মধ্যে বন্ধ পেয়ে ঢাকায় মায়ের কাছে যায় শাহরিয়ার। পরে মিরপুর ২ নম্বরে খালার বাসায় বেড়াতে যায়। সেখানে খালাতো ভাইয়ের সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নেয়। পরে মিরপুর ১০ নম্বরের গোল চত্বরের কাছে গুলিবিদ্ধ হয় শাহরিয়ার। সেখানে তার খালাতো ভাইও গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। সেদিন একপাশে আন্দোলনকারী অন্য পাশে পুলিশ ও ছাত্রলীগ ছিল।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।