ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১, ১১ মার্চ ২০২৫, ১০ রমজান ১৪৪৬

শিক্ষা

তিতুমীর কলেজ ‘শাটডাউন’ ঘোষণা, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৫
তিতুমীর কলেজ ‘শাটডাউন’ ঘোষণা, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টায় কলেজের মূল ফটকের সামনে সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিতুমীর ঐক্যের উপদেষ্টা মাহমুদুল হাসান মুক্তার

ঢাকা: সরকারি তিতুমীর কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘শাটডাউন’ ঘোষণা করেছেন স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে আন্দোলনরত কলেজটি শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি রেলপথ ও সড়ক অবরোধে ‌‘বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি’ কর্মসূচিও ঘোষণা করেছেন তারা।

এছাড়া সোমবারের মধ্যে দাবি মেনে নেওয়া না হয় তাহলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টায় কলেজের মূল ফটকের সামনে সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিতুমীর ঐক্যের উপদেষ্টা মাহমুদুল হাসান মুক্তার।

তিনি বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আন্দোলন করছি। কিন্তু রাষ্ট্র বারবার আমাদের সঙ্গে দ্বিচারিতা করছে। সেজন্য আমরা সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য তিতুমীর কলেজ শাটডাউন ঘোষণা করছি। এ সময়ের মধ্যে কোনো ক্লাস-পরীক্ষা কিংবা একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম হবে না। তিতুমীর কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণার পরেই তিতুমীরের গেটের তালা খোলা হবে।

এ সময় তিনি আরো জানান, সোমবার ১১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মহাখালী রেল ক্রসিংয়ে রেলপথ, আমতলী মোড়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক, মহাখালী-গুলশান সড়ক এবং গুলশান লিংক রোডে সর্বাত্মক অবরোধ করবেন শিক্ষার্থীরা।

সোমবার রাতের মধ্যে যদি দাবির বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা না হয় কিংবা দাবি মেনে নেওয়া না হয় তাহলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

এর আগে রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের বক্তব্যের প্রতিবাদে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। তারা সেখানে প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবস্থান করার পর রাত ৯টার দিকে মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসে ফিরে যান।

এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি বিকেল ৫টায় ৭ দফা দাবি নিয়ে অনশনে বসেন শিক্ষার্থীরা। পরে তাতে যোগ দেন আরও দুজন। ২৯ জানুয়ারি দুপুরে গণঅনশন কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। তাছাড়া ওইদিন দুপুরে গুলশান-মহাখালী সড়কের দুই পাশেই বাঁশ ফেলে অবরোধ করেন।

৩০ জানুয়ারি রাতে শিক্ষার্থীরা ‘বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার পর থেকে তাদের এ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারা গুলশান-১ চত্বরে অবস্থান নিয়ে কয়েক দফা বিক্ষোভ করেন। রোববার দুপুর ১২টা থেকে ফের তিতুমীর কলেজের সামনে গুলশান-মহাখালী সড়ক অবরোধ করেন তারা। পরে সন্ধ্যায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন।

আরও পড়ুন>> এবার রেলপথসহ সড়ক অবরোধের ঘোষণা তিতুমীরের শিক্ষার্থীদের

বাংলাদেশ সময়: ০১০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২৫
এসসি/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।