ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩ মাঘ ১৪৩১, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬ শাবান ১৪৪৬

শিক্ষা

ছাত্রলীগের অপকর্মের সঙ্গে জড়িতরাও সাধারণ শিক্ষার্থীর ছদ্মবেশে হলে থাকছে: ছাত্রদল

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৫
ছাত্রলীগের অপকর্মের সঙ্গে জড়িতরাও সাধারণ শিক্ষার্থীর ছদ্মবেশে হলে থাকছে: ছাত্রদল

ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের সব অপকর্মের যথাযথ বিচার এবং তাদের প্রশাসনিক সহযোগীদের শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে মার্চ ফর জাস্টিস কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর কাছে একটি স্মারকলিপি হস্তান্তর করে সংগঠনটি।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র থেকে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে উপাচার্যে অফিসে গিয়ে স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন তারা।

স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস, সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. মাসুম বিল্লাহ, সহ-সভাপতি আনিসুর রহমান খন্দকার অনিক, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. নাসির উদ্দিন শাওন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. শামিম আকতার শুভ ও সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নূর আলম ভূঁইয়া ইমন।

স্মারকলিপিতে তারা বলেন, দীর্ঘ দেড় দশকের এ ফ্যাসিবাদী শাসনামলে গণরুম, গেস্টরুম নামক নির্যাতনমুখী অপসংস্কৃতি এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে জোর-জবরদস্তি করে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ধরে নিয়ে যাওয়ার অপরাজনৈতিক কৌশলের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ছাত্রদলসহ বিরোধী সব রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতনের স্টিমরোলার চালিয়েছে। যার ফলে অসংখ্যবার রক্তে রঞ্জিত হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। অকথ্য নির্যাতন ও নিয়মিত হুমকি-ধামকির মাধ্যমে সৃষ্ট ভীতিকর পরিবেশের কারণে অপূরণীয় শারীরিক, মানসিক ও একাডেমিক ক্ষতির শিকার হয়েছে ছাত্রদল, বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন ও অসংখ্য সাধারণ শিক্ষার্থী। এমনকি বিভিন্ন সময়ে তাদের হামলা ও হেনস্তা থেকে রক্ষা পাননি শিক্ষকরা।

তারা উল্লেখ করেন, ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নৃশংস হামলা করে গুরুতর আহত করেছে অসংখ্য শিক্ষার্থীকে। ছাত্রলীগের এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে মদদ ও সহায়তা করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত অনেকেই। এসব সন্ত্রাসী ও তাদের সহায়তাকারীদের বিরুদ্ধে ৫ আগস্টের আগে ও পরে থানা ও আদালতে মামলাও করেছেন অনেক ভুক্তভোগী
শিক্ষার্থী।

স্মারকলিপিতে তারা বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের প্রায় ৬ মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পরেও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তেমন কোনো তৎপরতা লক্ষণীয় হচ্ছে না। এছাড়া বিগত সময়ে সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থীরা এখনও বিভিন্ন হলে সাধারণ শিক্ষার্থীর ছদ্মবেশে বসবাস করছে। অন্যদিকে আত্মগোপনে থাকা সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত নানা উপায়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলসহ বিরোধী রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ও তাদের পরিবার পরিজনকে হয়রানি করছে ও হুমকি-ধামকি দিয়ে যাচ্ছে।

তারা আরও বলেন, এ রকম বিভিন্ন ঘটনায় এর আগেও আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের শরণাপন্ন হয়ে সমাধান বা আইনি লড়াইয়ে উপযুক্ত সহায়তা প্রদানের বিষয়ে কোনোরূপ আন্তরিকতা পরিলক্ষিত হয়নি। বরং সময় যত অতিবাহিত হচ্ছে পলাতক সন্ত্রাসীদের হয়রানি ও হুমকি ধামকির মাত্রা তত বাড়ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৫
এফএইচ/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।