ঢাকা, শুক্রবার, ৭ ভাদ্র ১৪৩২, ২২ আগস্ট ২০২৫, ২৭ সফর ১৪৪৭

শিক্ষা

ডাকসু নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হচ্ছে: বিন ইয়ামীন মোল্লা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪:১০, আগস্ট ২১, ২০২৫
ডাকসু নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হচ্ছে: বিন ইয়ামীন মোল্লা সংবাদ সম্মেলন

ডাকসু নির্বাচন বানচালের জন্য সূক্ষ্ম ষড়যন্ত্র হচ্ছে অভিযোগ করে ভিপি প্রার্থী ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামীন মোল্লা বলেছেন, আমাদের দাবি মানা না হলে ডাকসু নির্বাচন কমিশনের ষড়যন্ত্রমূলক আচরণের বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন করব।

বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

বিন ইয়ামীন মোল্লা বলেন, ডাকসু নির্বাচনে ভোট দেওয়ার প্রক্রিয়ার ভেতরে যারা প্রার্থী হন, তাদের নাম ও ব্যালট নাম্বার থাকে। প্রায় ৪০ হাজারের মতো ভোটার এবং প্রতি ১৯ জনে একজন প্রার্থী, এত জনের নাম ও ব্যালট নম্বর মনে রাখা কঠিন।  

তিনি বলেন, আমরা দাবি জানিয়েছি, নাম ও ব্যালট নম্বরের পাশাপাশি প্রার্থীদের ছবি যুক্ত করার জন্য। হিজাব পরা নারী শিক্ষার্থীরা যেভাবে ছবি দেবেন, সেভাবে যেন দেওয়া হয়। স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য এই প্রক্রিয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সমস্যার সমাধান করা যায়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এটিকে জিইয়ে রেখেছে।

তিনি আরও বলেন, ছাত্রলীগের একজন সাবেক নেতা ডাকসু নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। কেউ ছাত্রলীগ করেছে বলে সারাজীবন খারাপ থাকবে তা নয়। যদি করো বিরুদ্ধে অতীতে ফৌজদারি অপরাধ থাকে, সেটা কি মাফ হয়ে যায়? সেটা মাফ হয়ে যায় না।  

বিন ইয়ামীন মোল্লা বলেন, ২০১৯ সালে এসএম হলে যে হামলার ঘটনা ঘটে, ফরিদ নামের একজন শিক্ষার্থীকে রক্তাক্ত করা হয়, পরদিন আমি সেখানে গিয়েছিলাম। আমি নিজেই একজন ভুক্তভোগী হয়ে সাক্ষ্য দিচ্ছি। একজন নারী শিক্ষার্থীকে লাথি মেরে লাঞ্ছিত করা হয়। এগুলো ডকুমেন্ট এখনো অনলাইনে আছে।  

তিনি বলেন, যদি নির্বাচন কমিশন বলে, সেই ব্যক্তির নামে তারা কোনো অভিযোগ পায়নি, এই কারণে তিনি প্রার্থী হতে পারবেন, তার নামে কোনো বিচার হবে না। বিচার করার কোনো তথ্য, প্রমাণ, সাক্ষী তারা পাননি। আওয়ামী লীগের সময় আমাদের ছাত্রলীগ পেটাতো, প্রক্টরের কাছে গেলে বলতেন, এমন কিছু শুনিনি... এখন তারা কি একই রকম ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে চায়? যে সমস্যাটা দুই তিন দিনের মধ্যে সমাধান করা যায় সেই সমস্যা তারা জিইয়ে রেখে নির্বাচন বানচালের চক্রান্ত করছে।

তিনি আরও বলেন, একটি দলের চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে, তাদের প্রভাবের কারণে ডাকসুর মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় একদিন বাড়ানো হয়েছে। এদিকে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নাম-ব্যালট নম্বরের পাশে ছবি যুক্ত করার কথা বলছি, কিন্তু তারা সেটি করছে না। ২০১৯ সালে যারা আমাদের ওপর হামলা করেছিল, তাদের বিচারের কথা বলছি, সেটি তারা করছে না, ঝুলিয়ে রেখেছে। তার মানে নির্বাচন কমিশনকে একটি জায়গা থেকে প্রভাবিত করা হচ্ছে।

ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, একদম নিরপেক্ষভাবে ভালোবেসে ডাকসু নির্বাচন হচ্ছে, তা নয়। ডাকসু নির্বাচন বানচাল করার জন্য সুক্ষ্ম ষড়যন্ত্রের জাল বিছিয়ে রাখা হয়েছে। যদি নির্বাচন কমিশন ছবি যুক্ত না করে এবং ছাত্রলীগের সাবেক নেতা যিনি ফৌজদারি অভিযোগে অভিযুক্ত, তার বিচার না করা হয়, তাহলে কমিশনের ষড়যন্ত্রমূলক আচরণের বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন করব।

তিনি আরও বলেন, ডাকসু নির্বাচন শুধু একটি নির্বাচন নয়, এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন। এই অধিকারকে বানচালে জন্য এখনো সূক্ষ্ম ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এ বিষয়ে চোখ-কান খোলা রাখতে হবে, কথা বলতে হবে।

এসসি/আরএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।