জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ভোট হাতে গোনা হবে। যে ওএমআর মেশিন কেনা হয়েছে তা জামায়াতের কোনো এক অখ্যাত কোম্পানির বলে অভিযোগ ওঠার পর ভোট হাতে গোনার সিদ্ধান্ত হয়।
তবে ছাত্রশিবিরের অভিযোগ, ছাত্রদলকে সুবিধা দিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জাকসু নির্বাচনের বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষণ কমিটির সদস্য ড. সালেহ আহম্মদ খান গণমাধ্যমকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
তিনি বলেন, যেহেতু ডাকসু নির্বাচনে মেশিনে ভোট গণনা নিয়ে আলোচনা সমালোচনা হয়েছে, এ কারণে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে সব ভোট হাতে গণনা করা হবে।
ছাত্রদলের সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, জামায়াতে ইসলামীর কোনো এক অখ্যাত কোম্পানি থেকে ক্রয়প্রক্রিয়া যথাযথ অনুসরণ না করে নির্বাচন কমিশন জাকসু নির্বাচনের ব্যালট পেপার ও ভোট গণনার ওএমআর মেশিন কেনা হয়েছে।
ছাত্রদল মনোনীত ভিপি পদপ্রার্থী মো. শেখ সাদী হাসান বলেন, ‘ছাত্রশিবিরের প্যানেলকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে ভোট গণনায় কারচুপি করার বিষয়টি জানাজানি হলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে নির্বাচন কমিশন তাৎক্ষণিকভাবে ওএমআর মেশিনে ভোট গণনার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। ’
তিনি আরও বলেন, ওই একই কোম্পানি থেকে কেনা ব্যালট পেপার দিয়েই আজকের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে ছাত্রশিবির তাদের নিজস্ব কোম্পানি থেকে আলাদা করে ব্যালট পেপার সংগ্রহ করে কারচুপির মাধ্যমে জয়ী হওয়ার জন্য নীলনকশা করে রেখেছে বলে আমরা মনে করছি। নতুন ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট নেওয়ার দাবি জানালে নির্বাচন কমিশন জামায়াতে ইসলামীর কোম্পানির ব্যালট দিয়েই ভোট নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এই রকম পক্ষপাতমূলক আচরণের জন্য আমরা নির্বাচন কমিশনের প্রতি তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করছি। তারপরও আমরা আশা রাখছি, নির্বাচন কমিশন তাদের নিরপেক্ষতা বজায় রাখবে এবং ছাত্রশিবিরের নীলনকশা বাস্তবায়নে কোনো ধরনের অপতৎপরতা চালাবে না।
৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সংসদে ২৫টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৭৮ প্রার্থী। নির্বাচনে মোট ৮টি প্যানেল অংশ নিচ্ছে। ছাত্রদের ১১টি ও ছাত্রীদের ১০টি হল মিলিয়ে মোট ২১ ভোটকেন্দ্রে ২২৪টি বুথে ভোটগ্রহণ চলছে।
এনডি